নগরীর কেসিসি ২নং ওয়ার্ড এলাকার পশ্চিম সেনপাড়া এলাকায় পাগলা কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। হাঁস, মুরগি, গৃহপালিত পশুসহ দিনে রাতে কেউ এলাকায় ঢুকলে পাগলা কুকুর তেড়ে আসে কামড়ানোর জন্য। এতে করে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকার মোঃ আবুল হোসেন জানান, ২৯ এপ্রিল দুপুরে তার খামারের ভিতর পাগলা কুকুর প্রবেশ করে ১৮টি হাঁস- মুরগি কামড়িয়ে মেরে ফেলে। পাশ্ববর্তী নিহারের মুরগির খোপে প্রবেশ করে কয়েকটি মুরগি মেরে ফেলে।
কুকুরটিকে লাঠি দিয়ে তাড়া করলেও মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। সর্বক্ষণ ভয়ে ভয়ে আতংক মনভাব নিয়ে বাসাবাড়ী এবং রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের ।
ডাঃ রফিক হোসেন বলেন, পাগলা কুকুরে কামড়ালে শুধু জলাতঙ্কই নয়, ধনুষ্টঙ্কারসহ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক রোগও কুকুরের আঁচড় বা কামড় থেকে ছড়াতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে জলাতঙ্ক যেমন প্রাণ সংশয়ের কারণ হতে পারে, তেমনই আক্রান্ত স্থানে বিবিধ সংক্রমণ ছড়িয়ে সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
গত এক সপ্তাহে এলাকার ২০ থেকে ২৫টি হাঁস, মুরগি কামড়িয়ে মেরে ফেলেছে এবং ২ টি ছাগলকে কামড়িয়েছে। নিরাপত্তার জন্য সিটি কর্পোরেশনের কোন কার্যক্রম দেখা যায়নি। অতিদ্রুত বেওয়ারিশ কুকুর নিধন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে হিংস্র কুকুরগুলোকে ধরে নিধন করার ব্যবস্থা করার দাবী জানান এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে কেসিসি ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে কুকুর নিধন টিম কাজ করতে পারছে না । এলাকাবাসীকে বেওয়ারিশ কুকুর গুলোকে মেরে খবর দিলে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই