ফুলতলা উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। গত এক সপ্তাহে ৫১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া দুই দিনের ব্যবধানে করোনার উপসর্গ নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি থাকা ফুলতলার ২ ব্যাক্তির মৃত্যু ঘটে।
মঙ্গলবার (৮ জুন) সকালে বেনেপুকুর গ্রামের বাসিন্দা ও দামোদর ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি তুষার কান্তি সরকার ওরফে তুষার আমিন (৫৮) মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে বরণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও দামোদর ১নং ওয়ার্ড সদস্য কায়েস সরদারের পিতা আলহাজ্ব ওসমান গনি সরদার ওরফে ওসমান কবিরাজ (৯০) মারা যান। এ নিয়ে গত দু’দিনের ব্যবধানে করোনাক্রান্ত হয়ে মারা যায় দুই জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে ৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ ব্যক্তির করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। তবে মঙ্গলবার প্রাপ্ত তথ্যে ৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ ব্যক্তির করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। ফুলতলা উপজেলা এলাকায় শনাক্তের হার ৪১ শাতাংশ হওয়ায় এলাকাবাসী শঙ্কিত। তবে প্রশাসনিকভাবে লকডাউন বা স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতায় নেই কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ।
উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জেসমিন আরা বলেন, ফুলতলা উপজেলায় দিন দিন করোনা আক্রান্ত’র হার বেড়েই চলেছে। এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ণ্ত্রনের বাইরে চলে যাবে। আগামীকাল (বুধবার) করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরী সভায় সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি