খুলনার ফুলতলা উপজেলায় আমন মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। চলতি মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহ চলছে মন্থর গতিতে। সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বিভিন্ন হাট বাজারে বেশি মূল্যে ধান ও চাল বিক্রি হওয়ায় সরকারি গুদামে মিল মালিকরা ধান চাল দিতে পারছে না। ফলে মিল মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। গুণতে হচ্ছে লোকসান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান ও ১৫ নভেম্বর থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। এ কার্যক্রম চলবে আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই দু’মাসে ফুলতলায় কোন ধান ও চাল সংগ্রহ করতে পারেনি। সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৬ টাকা, চাল প্রতি কেজি সিদ্ধ ৩৭ টাকা এবং আতপ চাল ৩৬ টাকা। ফুলতলার ১৯টি চাল মিল মালিক থাকলেও এ পর্যন্ত ৩টি মিল মালিক চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এরা হলো জুবায়দা রাইচ মিল, মধুমতি রাইচ মিল ও হৃদয় রাইচ মিল। ফুলতলায় খাদ্য গুদামের বরাদ্ধ সিদ্ধ চাল ৪ হাজার ৮৯ মেঃ টন, আতপ ২৩৬ মেঃ টন এবং ধান ৪৭ মেঃ টন।
উল্লেখ থাকে যে, গত মৌসুমে মিল মালিকরা চুক্তিবদ্ধ হলেও সম্পূর্ণ ধান ও চাল প্রদান করেনি। শেষ পর্যন্ত চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ধান সংগ্রহের টার্গেট পূরণ হয়নি। তবে বর্তমান মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান পুরোপুরি ব্যর্থ হতে চলেছে বলে জানা যায়।
আলকা গ্রামের কৃষক মোল্যা রবিউল ইসলাম ও ধোপাখোলা গ্রামের আব্দুল গফ্ফার জানিয়েছে, বর্তমানে ধান চালের বাজার উর্ধ্বমুখি থাকায় কৃষক ও মিল মালিকরা খাদ্য গুদামে ধান ও চাল সরবরাহ করছে না। ইতোমধ্যে সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করছে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, যেহেতু আগামী ২৮ ফেব্রয়ারী সময় রয়েছে তাই চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকরা কিছুটা ধান ও চাল সরবরাহ করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম