যশোর পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম মারুফ প্রার্থীতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে আপিলের প্রস্তুতি নিয়েছেন। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু জানান, আজ (মঙ্গলবার) প্রার্থীতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে আপিল করা হবে এবং একই সাথে শুনানী হবে বুধবার।
মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহমান কাকন মৃধা ও কাউন্সিলর প্রার্থী রিয়াজ উদ্দীনের প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার আপিলও না মঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ৫ প্রার্থীর মধ্যে এ তিনজনই তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করেন। আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান রোববার এ শুনানী সম্পন্ন করে পর্যালোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত দেন। জেলা প্রাশসক কার্যালয়ে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জানান, নির্বাচনে ইচ্ছুক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ৪ ফেব্রুয়ারি যাচাই বাছাইয়ে বাতিল হওয়া তিন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করেন। এ প্রার্থীদের আপিল শুনানী শেষে তা পর্যালোচনা করে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। অর্থাৎ তাদের প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার আপিল না মঞ্জুর হয়।
এদিকে, সাবেক মেয়র মারুফের ব্যাপারে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু জানান, হাইকোর্টের সাবেক এটর্নি জেনারেল এএফএম হাসান আরিফ মেয়র প্রার্থী মারুফের পক্ষে আপিল দাখিল করবেন। একই সাথে ১০ ফেব্রুয়ারি আপিলের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু। তিনি আরও জানান বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মুকুল, মেয়র প্রার্থী নগর বিএনপির সভাপতি মারুফুল ইসলাম ও মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু আপিল শুনানী ও দাখিলে অংশ নেবেন।
গত চার ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে ইচ্ছুক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে ঋণ খেলাপির দায়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম মারুফের। একইসাথে নির্বাচনী নীতিমালা অনুযায়ী জমা দেয়া তার সমর্থনকারীর একশ’ জনের তথ্য যথাযথ না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহমান কাকন মৃধার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। মেয়র পদে বাতিল হওয়া এ দুই প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করেন। এছাড়া প্রার্থীর স্বাক্ষর না থাকা, হলফনামাসহ আয়-ব্যায়ের হিসেব জমা না দেয়া ছাড়াও নানা অসংগতি থাকায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রিয়াজ উদ্দীনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তিনিও তার প্রার্তীতা ফিরে পেতে আপিল করেন।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবির জানান, মেয়র পদে এখনও পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ আলী বৈধ প্রার্থী হিসেবে টিকে আছেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা যাবে।