প্রান্তিক পর্যায়ে পানি, পয়:নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নজর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন খুলনা-২ ও ৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সংসদ সদস্য প্রার্থীরা। তারা বলেছেন, নির্বাচিত হলে খুলনাকে স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে তারা কাজ করবেন। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন এলাকার উন্নয়ন কাজ করা কেডিএ, ওয়াসা, টেলিযোগাযোগসহ অন্যান্য সংস্থার সমন্বয় সাধনের উদ্যোগ নেবেন। যেন কোন কাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনায় জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে প্রার্থীরা এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তবে এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন না।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নাগরিক অধিকার ও সুরক্ষা কমিটি নগরীর একটি অভিজাত হোটেল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সুশীলনের নির্বাহী প্রধান মোস্তফা নুরুজ্জামান। আলোচনায় অংশ নেন খুলনা-২ আসন থেকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী দেবদাস সরকার, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিযোটের প্রার্থী বাবু কুমার রায় ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ গাউসুল আজম, খুলনা- ৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, জাকের পার্টির প্রার্থী এস.এম সাব্বির হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী।
অনুষ্ঠানে অপরিকল্পিত নগরায়নের বিষয়ে মানুষের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ-জামান, নাগরিক নেতা মিনা আজিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার, সিলভি হারুন প্রমুখ।
দাবিতে বলা হয়, পরিকল্পিত নগরায়নের জন্য সকল পেশার মানুষের সমন্বয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর শাসন নিশ্চিত করতে হবে। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পিত ও জলবায়ু শহর নির্মাণ নিশ্চিত করতে হবে। দরিদ্র বিশেষ করে গৃহহীন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি সিটি কর্পোরেশনে পরিকল্পিত নগরী তৈরির জন্য অনুকরণযোগ্য আদর্শ মডেল ওয়ার্ড ঘোষণা করতে হবে। প্রতিটি সিটি কর্পোরেশনে পানি নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকরী পরিবেক্ষণ কাঠামো তৈরি করতে হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি