সাতক্ষীরায় চাচার দায়ের করা ১০ লাখ টাকা প্রতারণার মামলায় ভাইপো সাবেক সেনা সদস্য মোঃ হাসানুজ্জামান বাবলুকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (১০ এপ্রিল) সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর আদালতে উভয়পক্ষের শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
আসামি মোঃ হাসানুজ্জামান বাবলু সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শাখরা গ্রামের আব্দুল বারী শাহ্ এর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শাখরা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হাসানুজ্জামান বাবলু তার চাচা শহরের মধ্য কাটিয়ার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহমানের কাছ থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ফেরৎ দেওয়ার শর্তে ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ১০ লাখ টাকা ধার নেন। আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক লিঃ এর চেকটি ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখা থেকে উত্তোলণ করেন হাসানুজ্জামান হাসান।
চলতি বছরের ৫ মার্চ বাড়িতে ডেকে ডাকা চাইলে টাকা দিতে পারিবে না বলে চলে যায় হাসানুজ্জামান বাবলু। নিরুপায় হয় আব্দুর রহমান গত ২১ মার্চ সাতক্ষীরা সদর থানায় বাবলুর বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা করেন।
মামলার পরদিন তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক মোঃ শাহজালাল অভিযান চালালে বাবলু বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। ২৮ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর তাকে মীমাংসার শর্তে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন। হাসানুজ্জামান বাবলু মীমাংসা না করে উল্টে মামলার বাদি ও সাক্ষীর নাম উল্লেখ করে হুমকির অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০৭ ধারার মামলা করেন। এ ছাড়া বাদি ও চাচাত ভাইকে মামলা তুলে না নিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মোতাহার রহমান ও অ্যাড. জিয়াউর রহমানর জিয়া জানান, রোববার মামলার আসামী হাসানুজ্জামান বাবলুর পক্ষে অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম ও অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২) স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে তারাও জামিন বাতিলের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানী শেষে বিচারক আসামীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মাহাসুদ হোসেন আসামি হাসানুজ্জামান বাবলুর জামিন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই