যশোরের কেশবপুরের সাতাইশকাটি ব্রাহ্মণডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার সপ্তম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্কুল মাঠে বসে পরীক্ষা দিয়েছে। এদিন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকায় প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা স্কুলের খোলা মাঠে বসে পরীক্ষা দিয়েছে। এতে অনেক ছাত্র-ছাত্রী অস্বস্তি বোধ করেছে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার পাঁজিয়া সাতাইশকাটি ব্রাহ্মণডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিবছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে আসছে। বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষের সংকট দীর্ঘদিনের। কর্তৃপক্ষ একাধিকবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে অবহিত করলেও নিরসন হয়নি সমস্যার। ফলে কষ্টের মধ্যে চলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও পরীক্ষা। সবচেয়ে সমস্যা হয় পরীক্ষা এলে। শ্রেণিকক্ষের অভাবে সব শিক্ষার্থীকে রুমে স্থান সংকুলান করা যায় না। ফলে মাঠে বসেই অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে পরীক্ষা দিতে হয়।
এর কারণেই মঙ্গলবারের সপ্তম ও দশম শ্রেণির পরীক্ষা মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা দেখে অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ সমস্যার আশু সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইউনুস বলেন, মাঠে বসে পরীক্ষা দিতে তার অনেক কষ্ট হয়েছে। বিদ্যালয়ে যথেষ্ট কক্ষ না থাকায় এদিন তারা মাঠে বসে পরীক্ষা দিয়েছে। দশম শ্রেণির অপর শিক্ষার্থী মিনা খাতুন বলেন, রুম না থাকায় তাদের স্কুল মাঠের গাছতলায় বসে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এতে তারা অস্বস্তিতে ভুগেছেন। এই গরমে মাঠে বসে তাদের পরীক্ষা দিতে খুব কষ্ট হয়েছে।
একজন অভিভাবক ক্ষোভ নিয়ে বলেন, প্রচন্ড তাপদাহে মাঠে বসে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহিতোষ কুন্ডু বলেন, বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকায় পরীক্ষা স্কুল মাঠে নিতে হয়েছে। অথচ স্কুলটি প্রতি বছর ভালো ফলাফল করে আসছে।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, শ্রেণিকক্ষ কম এবং শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় স্কুল মাঠেই দুটি শ্রেণির পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিষয়টি একাধিকবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আজও তারা এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।
এ ব্যাপরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, আমি কেশবপুরে সদ্য যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। এখনি বিষযটি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই