১.
বসন্ত ভোরের স্নিগ্ধ বাতাসে নতুন আবেশে খুঁজেছি আমি,
প্রকৃতির নিসর্গ-প্রেমের মাঝে, জীবনের অনাবিল সুখ:-
স্রোতস্বিনী নদ-নদীর কল্লোলে রূপসী বাংলার সৌন্দর্য
খুঁজেছি-সবুজ শ্যামলে, ঊষার সূর্য উঠা রঙিন কিরণে |
পার্বত্য বরকলের পাহাড়ী ঝর্ণার খরস্রোতে-
মনোরম দৃশ্য অপরূপে । রামগড় বনভূমি
রাঙামাটির সবুজ তৃণলতার পাহাড়ে,-নিবিড় অরণ্যে,
অসংখ্য পত্র-পল্লবে সবুজ গাছপালা ঘেরা মোহিনী রূপের মাঝে
নৈসর্গিক সৌন্দর্য-ভরা কাপ্তাই লেকের পাড়ে,
অজস্র ফুলে-পাপড়ি, ফোটা চারিধারে ।
এদেশের সর্বত্র হৃদয়ের উষ্ণ আবেগে, উর্বর
মাটির মায়ায়, প্রকৃতি-চৈতন্যে সদা ভালোবাসা
খুঁজেছি প্রাণস্পন্দনে । নদীর কলতান শুনেছি,
– ভাওয়ালিয়া নৌকোয় করেছি কতো ভ্রমণ,
দেখেছি পদ্মা, মেঘনায় ইলিশের নাচন ।
২.
দেখেছি, কক্সবাজার, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
জাহাজঘাটা,- মোংলাবন্দর, শুকনো কংকর
ঝিনুক, নুড়ি ছোট পাথর, বালুচর |
সবুজাভ বৃক্ষছায়া নিঝুম দ্বীপ, সৈকতের সবুজ
ঝাউবন, বালুকা তপ্ত-প্রান্তর ।
বাতাসের দোলায় সাদা কাঁশবন, সাদা ফুলে ভরা,
দৌলতদিয়া-পদ্মাচর । কতো সুন্দর !
একদা মনের আবেগ ভরে দেখেছি পাহাড়, পর্বত দুর্গমপথ,
-তপ্ত মরু-বালুকা, মরীচিকা প্রান্তর ।
নিবিড় বনছায়া, গজারিবন, আনারসের বাগান
ভালোবাসা অনন্তর মধুপুর গড় । সাঁঝের আকাশে,
– গোধূলি বেলায় – আলো আঁধারে দেখেছি, গারো
পাহাড়ের বিচিত্র শোভা, কংশ নদীর ঢেউ
বিরিশিরির শস্য শ্যামলিমা, সুবাসিত রূপে |
হৃদয়ের শতো, আকুতি নৈসর্গিক আবেদন ভরা ।
– সুপ্ত বাসনা উজাড় করা, এ ধরণী সুখের, মায়াভরা
– অপরূপে ।।
খুলনা গেজেট/ টি আই