সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ব্যবসায়ি সন্ন্যাসী চরণ দাস (৫৫) ও উজ্জ্বল হোসেন (২৭) নামের দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার পাতড়াখোলা মসজিদের সামনে ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে ব্যবসায়ী সন্ন্যাসী চরণ দাস ও রাত ৯ টার দিকে লক্ষীখালি এলাকায় মাছের ঘেরে থাকা সেচ পাম্পের তারে জড়িয়ে মারা যান উজ্জল হোসেন।
নিহত ব্যবসায়ি সন্ন্যাসী চরণ দাস সাতক্ষীরার শ্যামনগর পৌরসভার গোপালপুর এলাকার কেশব চন্দ্র দাসের ছেলে এবং নিহত উজ্জ্বল হোসেন একই উপজেলার লক্ষীখালি গ্রামের হযরত আলী গাইনের ছেলে।
নিহত সন্ন্যাসী চরণ দাসের স্বজনরা জানান, বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যার পর রমজাননগর থেকে ব্যাটারীচালিত ভ্যানে করে বিচালী নিয়ে আসছিলেন সন্ন্যাসী চরণ দাস। পথিমধ্যে রাত সাড়ে ৭টার দিকে পাতড়াখোলা মসজিদের সামনে ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে ভ্যান থেকে রাস্তায় পড়ে যায় সে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
একই ভ্যানে থাকা শ্রমিক বাচ্চু কুমার মন্ডল জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার নাজমুস সাকিব বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, উজ্জ্বল হোসেন বৃস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ভাত খেয়ে লক্ষীখালি গ্রামের মাছের ঘেরে যান। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ওই ঘেরে পানি সেচের জন্য থাকা বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের তারে জড়ানো অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঘেরে পানি দেওয়ার জন্য মটর চালু করার সময় বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার কওে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ পৃথক দু’টি ঘটানাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এএজে