স্মৃতির বিপন্ন শরীর থেকে
বিন্দু বিন্দু স্বেদের মতো যে খেদ
ঝরে পড়ে জীবনের পাটাতনে;
তার মাঝে নুন খোঁজো কেন, হে পিপীলিকা?
তুমি তো সুমিষ্ট চিনির পূজারী!
উত্তরোত্তর উত্তরোষ্ঠের উষ্ণতা পাবার লোভে
প্রেমিকার খুব কাছে গিয়েও যখন কারো মনস্কামনা দমে যায়;—
সেটিও তো অবশ্যই কিছু না কিছুর দিশারী!
মুহূর্তের ঘূর্ণিপাকে ছলকে যাওয়া নষ্ট আবেগ
কি আসলেই সক্ষম অঙ্গার হয়ে যাওয়া প্রেমকে পুনর্জাগরণের পথ দেখাতে
নতুন কোনো জন্মময় পন্থায়?
নাকি সে-ও হয়ে রয় মরা জারুলের কাণ্ডের মতো অটল
আর বিস্মৃতির কম্পনে ঢংঢং ধ্বনি ওঠে কালের ঘণ্টায়!
উন্নত চিবুক, বুক শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক হলেও
তাদের তলে জমা থাকা গল্প ও স্বপ্ন কেন আজ হয়ে গেছে রুক্ষ?
বলো— স্বাধীনতার শ্লাঘায় আজ তোমার জঘনও স্থির হয়ে গিয়ে
কীসের ইঙ্গিত রেখে যেতে চায় সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম?
প্রেম আসলে অমোঘ কোনো জিনিস নয়;—
অমরও নয়!
এটা পাল্টায় ক্ষণে ক্ষণে:
বিষণ্ন থেকে প্রসন্ন কিংবা
প্রসন্ন থেকে বিষণ্ন হয়ে বয়ে চলে
বদ্বীপের পাদপ্রান্তে থাকা সমুদ্রের জরায়ুতে
প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত হয়ে বসে থাকা দুইজোড়া
হাঙরের আলজিভের ছায়ায়!
খুলনা গেজেট/এনএম