সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা সিদ্দিকিয়া কওমি মাদ্রাসার এক ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৬ জুলাই) দিবাগত গভীররাতে মাগুরা জেলার মাগুরা সদর থানার বন্যতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষকের নাম হাফেজ মুছআব বিল্লা (২৫)। সে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার দুসরাইল গ্রামের মাওলানা সামছুল হকের ছেলে।
ওই ছাত্রের বাবা দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক জানান, তার ছেলে (১২) পাটকেলঘাটা সিদ্দিকিয়া কওমি মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগে (হাফেজী) পড়ালেখা করতো। গত ঈদুল ফিতরের পরে পৃথক পৃথক দিনে তার বাচ্চাকে ডেকে নিয়ে মাদ্রাসার সিঁড়ি ঘরের পাশের একটি রুমে এবং ছাদে দুই দিন বলৎকার করে ওই বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মুছআব বিল্লা। বিষয়টি কাউকে নাজাতে ভয়ও দেখায় সে। পরে আমার ছেলে আমাকে এই মাদ্রাসা থেকে অন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করতে বলে। কারণ জানতে চাইলে সে প্রথমে কিছু না জানালেও একপর্যায়ে তার নানার কাছে ঘটনাটি বলে। এরপর বিষয়টি ওই মাদ্রাসার সুপারসহ অন্যদেরকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরঞ্চ তাদেরকে এ বিষয়ে আর কোনো পদক্ষেপ নিতে নিষেধ করা হয়। এমনকি ওই শিক্ষককে পালিয়ে যেতে সাহায্য করা হয়। বারবার প্রতিকার চেয়েও তারা এর কোন প্রতিকার পায়নি। বাধ্য হয়ে ৯ জুলাই আমার স্ত্রী বাদী হয়ে পাটকেলঘাটা থানায় হাফেজ মুছআব বিল্লার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পাটকেলঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ রোকন মিয়া জানান, বেশ কিছুৃদিন সে পালাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত গভীররাতে মাগুরা জেলার মাগুরা সদর থানার বন্যতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে সেখান থেকে পাটকেলঘাটায় থানায় আনা হয়েছে।
এবিষয়ে পাটকেলঘাটা সিদ্দিকিয়া কওমি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মনিরুল হক বলেন, ঘটনাটি ওই শিশুর পরিবারের কাছ থেকে জানার পর ম্যানেজিং কমিটির সভা ডেকে ওই শিক্ষককে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তির কথা বিবেচনা করে বিষয়টি জানাজানি হোক চাইনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই