সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানার মির্জাপুর এলাকায় তেলবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নবজাতক মেয়ে, মা ও বড় জামাইসহ চারজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৩জন। বুধবার (১০ মে) বিকাল ৩টার দিকে পাটকেলঘাটা থানাধীন খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের মির্জাপুর শ্মশান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার খলিষানী গ্রামের আলাউল গাইনের স্ত্রী তানজিলা খাতুন (৪০),বড় জামাই সদর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের বেলাল হোসেন ডালিম (২৮) ও তানজিলা খাতুনের সদ্য ভুমিষ্ট মেয়ে এবং আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের মুসা গাইন এর ছেলে তাজিজুল ইসলাম (৩২)।
নিহতের স্বামী আলাউল গাইন জানান, নিজ বাড়িতে মঙ্গলবার একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করেন তার স্ত্রী তানজিলা খাতুন। তবে মেয়ে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় মা ও নবজাতক মেয়েকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পথিমধ্যে মির্জাপুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তার স্ত্রী তানজিলা খাতুন ও সদ্যোজাত মেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত অবস্থায় সামেক হাসপাতালে নেয়ার পর বড় জামাই বেলাল হোসেন ডালিম ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাজিজুল ইসলাম মারা যায়। তাজিজুল তার স্ত্রীর রক্ত দেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে খুলনায় যাচ্ছিল।
সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শিমুল রানা জানান, বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সাতক্ষীরাগামী মেঘনা কোম্পানির একটি তেলবাহী ট্রাক ও খুলনাগামী এ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হাইওয়ে পুলিশের ওসি শওকত হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে মা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়।পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরে জামাই ডালিমের মৃত্যু হয়। এছাড়া এ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ কমপক্ষে ৪জন আহত হয়ে। তাদের মধ্যে ২জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ২জনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাজিজুল ইসলাম নামে আরো একজন মারা যায়।
পাটকেলঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) বিশ্বজিৎ অধিকারী দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, দুর্ঘটনায় তানজিলা খাতুন ও তার সদ্যজাত মেয়ে, তানজিলার বড় জামাতা ডালিম এবং রক্তদাতা হিসেবে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা তাজিজুল ইসলাম মারা যায়।
খুলনা গেজেট/ এসজেড