শিল্পায়নের এ যুগে আধুনিকতার নামে প্রতিনিয়ত উজাড় হচ্ছে বন-জঙ্গল ও পাখির আবাসস্থল। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাখির বংশ বৃদ্ধি। হুমকির মুখে জীববৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসাম্য। আর তাইতো পাখির বংশ বৃদ্ধিসহ জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে কাজ করছে দেশের কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন।
খুলনা নগরীর এমনি একটি সংগঠন ‘রিবিল্ড বাংলাদেশ’ পাখিদের জন্য অভয়াশ্রম গড়ে তুলতে কাজ করছে। মাটির হাঁড়ি গাছের ডালে বেঁধে দিয়ে পাখির জন্য বাসা তৈরি করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে পাখির জন্য নিরাপদ কৃত্রিম আবাসস্থল স্থাপনের কাজ করছেন তরুনদের নিয়ে গঠিত এই সংগঠনটি।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সংগঠনের সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন জায়গায় গাছের ডালে মাটির হাঁড়ি বেঁধে তৈরি করে দিয়েছেন পাখির বাসা। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়ে নগরীর ফুলবাড়ি গেট, দৌলতপুর, বিএল কলেজ, দৌলতপুর ডে নাইট কলেজ, নতুন রাস্তা, শগীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গিয়ে শেষ করা হয়।
এ বিষয়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক খান ইবনে ফয়জুল ধ্রুব বলেন, ছাত্র জনতার তরুণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানব সেবা আমরা করে থাকি, কিন্তু প্রকৃতি ও প্রাণী মানব জীবনের একটি অংশ। প্রকৃতি-প্রাণী বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। তাই আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগ।
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা সংস্কারের একটি ওয়াদা করেছিলাম, তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই সংগঠন।
তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন বর্তমানে প্রকৃতি ও বায়ু দূষণের সাথে শব্দ দূষণও বেড়েছে। যা প্রাণীকুলের জন্য চরম ক্ষতিকর। এছাড়াও বর্তমানে অতিরিক্ত রেডিয়েশনের কারণে অনেক পাখিই বিলুপ্ত। তাই আমাদের সংগঠন ‘রিবিল্ড বাংলাদেশ’ চেষ্টা করছে পাখিদের জন্য এটি নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি করতে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, শেখ তরিকুল ইসলাম, রাজ মেহেদী, মো. সালমান খান, সাব্বির হাসান রিমন, জোহান্না সুস্মিতা, মনিজা ইয়াসমিন, আব্দুল্লাহ আল রোহান, রাকিন, তানজিম, রাব্বি।
খুলনা গেজেট/এএজে