খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু
  আরও এক মামলায় খালাস পেলেন ফখরুল-রিজভী-আমির খসরু
  ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে রেণু হত্যা : একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
  ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি মোকাম্মেল ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ
  সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৩ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন

পাইকগাছায় প্রভাবশালীদের দখলে কপোতাক্ষের সরকারি জমি

শেখ নাদীর শাহ্, পাইকগাছা

দক্ষিণ খুলনার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক নগরী পাইকগাছার কপিলমুনির প্রাণ কেন্দ্রের কপোতাক্ষ তীরবর্তী কোটি কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি আবারও দখল হয়ে যাচ্ছে। সদরের মাছবাজার সংলগ্ন সরকারি বিস্তীর্ণ চর ভরাটি জমি দখল করে অবৈধ দখলদাররা বাঁশের খুঁটি-চাটাই দিয়ে ঘেরা-বেড়া দিয়ে নিজেদের দখলে নিচ্ছে।

গত কয়েক বছর আগে বাজার উন্নয়নের নামে স্থানীয় ট্রেড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বণিক সমিতির ব্যানারে আরসিসি পিলার দিয়ে স্থায়ী দখল প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে সেবার বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় ব্যাপক লেখালেখি ও কপোতাক্ষ খনন শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় দখল কার্যক্রম। তবে সময়ের ব্যবধানে বাজার সম্প্রসারণের নামে ফের শুরু হয়েছে দখল প্রক্রিয়া। তবে কারা করছে এবং কাদের উস্কানি কিংবা সরকারের কোন অনুমতিপত্র আছে কিনা তা জানা সম্ভব হয়নি এখন পর্যন্ত। সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনায় সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে স্থানীয়রা দখল অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাছবাজার ও শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ সংলগ্ন কপোতাক্ষ তীরবর্তী সরকারি জমিতে কোন প্রকার অনুমতি বা ছাড়পত্র না নিয়েই প্রভাবশালী চক্র আবারো নতুন করে দখল প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তারা সেখানে বাঁশের খুঁটি ও রেলিং দিয়ে পৃথক পৃথকভাবে দখল শুরু করেছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমান দখলদারদের মধ্যে একজন সাবেক ইউপি সদস্য মো: আব্দুল আজিজ বিশ্বাসের একটি মাছ কাটা (আড়ৎ) আগে থেকেই ছিল। পরে কপোতাক্ষ খনন ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সকল দখল উচ্ছেদ হলেও তিনিও ভাসমান হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের পুণর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা হলে তারা সম্মিলিতভাবে অন্যত্র চলে গিয়ে নতুন মাছ কাটা (আড়ৎ) স্থাপন করেন। এরপর কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নতুন কাটায় স্থান না পাওয়ায় কপিলমুনিকে আঁকড়ে থাকেন।

সর্বশেষ কপোতাক্ষ তীরবর্তী সরকারি জমির জন্ম হলে সম্প্রতি আব্দুল আজিজ সেখানে মাছের কাটা স্থাপন করলে তাকে দেখে আরো অন্তত ৫ জন পাশের জায়গায় দখল নিয়েছেন। এমনকি রাস্তার অপর প্রান্তের সরকারি লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পত্তিতেও শুরু হয়েছে দখল প্রক্রিয়া যেকোন সময় ঐসব এলাকাও দখলের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় একাধিক নির্ভরশীল সূত্র জানায়, দখলদারদের প্রত্যেকেই মোটা অংকের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ঠদের ম্যানেজ করেই বাজার সম্প্রসারণের নামে প্রকাশ্যে সরকারি বিস্তীর্ণ চর ভরাটি জমিতে বাঁশের খুঁটি-চাটাই দিয়ে ঘেরা-বেড়ায় নিজেদের দখলে নিয়েছে। আর দখলের ১মাস পেরিয়ে গেলেও অবৈধ দখলদারদের অপসারণে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষটি স্থানীয়দের নানা ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও কপিলমুনি হাট-বাজার ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ কওসার আলী জোয়াদ্দার জানান, তিনি কোটি কোটি টাকার চরভরাটি জমি অবৈধ দখলের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। আর তিনি মূলত নির্বাহী কর্মকর্তার আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ মমতাজ বেগম জানান, চিহ্নিত জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে। তাই পাউবো চাইলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলেও জানান তিনি।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!