পাইকগাছা উপজেলার চাদখালীর কালুয়া গ্রামে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া চার জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে তাদের চারজনকে পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলো কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের জিহাদ আলীর ছেলে অহিদুল ইসলাম ওরফে অহিদ (২৮), মৃত অহেদ আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম ওরফে ওরাকা(২৮), শেখ খলিলুর রহমানের ছেলে শেখ মোনায়েম হোসেন (২৪) ও পাইকগাছা উপজেলার মৌখলী গ্রামের মৃত ইউসুফ ঢালীর ছেলে ফেরদৌস ঢালী(৫১)।
তদন্ত কর্মকর্তা ও পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জানান, ২৯ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া ওই চার জন পাইকগাছা উপজেলার চাদখালী গ্রামের এক বিধবার দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর নগদ টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরেরদিন ওই মহিলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গজালিয়া থেকে ওহেদ আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অপর তিন আসামির নাম বলে দেয় সে। এরপর ওই তিন জনকে কয়রা উপজেলার আমাদী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে তারা ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে।
খুলনা গেজেট/এএ