খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ড. শেখ আব্দুল রশিদকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে ২ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
  ছয় মামলায় সাবের হোসেনের জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
  বাংলাদেশী ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরকান আর্মি

পাইকগাছায় ওয়াপদা কেটে বিকল্প বাঁধ নির্মাণ নিয়ে মতদ্বন্দ্ব চরম

পাইকগাছা প্রতিনিধি

লবণ পানি বিরোধী আন্দোলনের মুখে সরকারি রাস্তার পাশে বিকল্প বাঁধ দিয়ে পরিকল্পিত উপায়ে চিংড়ি উৎপাদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাইকগাছায় একটি বাঁধ সংষ্কার নিয়ে মতদ্বন্দ্ব ক্রমশ দানাবাঁধছে। সরকারি ওয়াপদার মাটি কেটে ক্ষতিসাধনের অভিযোগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে সংষ্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গদাইপুর ও কপিলমুনি ইউপির সীমান্তবর্তী নোয়ালতলা ও চক শুননাল মৌজায়।

অভিযোগের পর উত্তপ্ত পরিস্থিতি এড়াতে সোমবার (৩১ জানুয়ারী) ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য গোটা প্রক্রিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

জানা গেছে, গত বছর থেকে পাইকগাছায় লবণ পানির চিংড়ি উৎপাদন বন্ধে ও ধান চাষের দাবিতে জমি মালিকদের পক্ষে আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন সময় দফায় দফায় বৈঠকের এক পর্যায়ে সরকারি রাস্তার পাশে বিকল্প বাঁধ দিয়ে পরিকল্পিত উপায়ে চিংড়ি ও পাশাপাশি ধান চাষের সিদ্ধান্ত হয়।

যার ধারাবাহিকতায় উপজেলার বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ দায়িত্বে এলাকায় বিকল্প বাধ নির্মাণের তাগিদ দিয়ে প্রচারনা চালায়। এর প্রেক্ষিতে উপজেলার গদাইপুর ও কপিলমুনি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নোয়ালতলা ও চক শুরনাল মৌজাজুড়ে প্রায় ৭শ’ বিঘা যৌথ চিংড়ি ঘের মালিকরা নিজ অর্থায়নে বিকল্প বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করে।

এর আগে স্থানীয় জমি মালিকরা চিংড়ীর পাশাপাশি ধান চাষের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গণ স্বাক্ষরিত পিটিশন করেন। এরপর সরকারি বাঁধ কেটে বেড়িবাঁধ সংষ্কারের খবরে শত শত জমি মালিক রবিবার (৩০ জানুয়ারী) স্থানীয় গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলামকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এসময় তারা ঘের মালিকদের আইনের আওতায় নিয়ে বিচারের দাবি জানান। জমি মালিকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার পাড়, আকবর সরদার, ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন গাজী, মইনুদ্দিন দফাদার, আফসার আলী, কাশেম সরদার, আজিবর রহমান, আব্দুল কাদের সরদার, বাবলু গাজী, জিয়াউদ্দিন নায়েব, জামসেদ হোসেন মুন্না, মেহেদী হাসান নান্টু, সাহেব শিকদারসহ শত শত জমির মালিক।

এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ হলে তিনি বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। যার প্রেক্ষিতে সোমবার (৩১ জানুয়ারী) সকালে উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদ ও কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘের মালিকরা ওয়াপদা বাঁধ সংস্কার করায় সর্ব সাধারণের উপকার হবে। এজন্য তিনি তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।

তবে পাউবো এসও রাজু আহম্মেদ জানান, ওয়াপদার কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে কাজ করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি তিনি লিখিত ভাবে কতৃপক্ষকে জানাবেন।

সংশ্লিষ্ট ঘের মালিকদের একজন শেখ আনারুল ইসলাম জানান, মাসিক সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে ওয়াপদা সংষ্কার ও বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করছেন। তবে ওয়াপদার কাছ থেকে ফের অনুমতি নেয়ার বিষয়টি জানা নেই তার।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!