ছাত্রসমাজের পাশে দাঁড়াতে পশ্চিমবঙ্গে বুধবার ১২ ঘণ্টার ‘বাংলা বন্ধ’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এই ‘সাধারণ ধর্মঘট’। এদিকে এ কর্মসূচির বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, এটা বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। কোনো ফাঁদে পা দেবেন না। পশ্চিমবঙ্গের বুকে কোনো বাংলা বন্ধ হবে না। জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে। বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধ ব্যর্থ করুন।
চিকিৎসক হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিক্ষোভে লাঠি চালায় পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। এরপরই ছাত্রসমাজের পাশে দাঁড়াতে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিজেপি।
মঙ্গলবার দুপুরের সাংবাদিকদের সুকান্ত বলেন, পরশু (বৃহস্পতিবার) থেকে আমরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করব। ছাত্রসমাজকে সব রকম আইনি ও মেডিকেল সহায়তা দেব আমরা। আগামী ৩০ আগস্ট আমাদের মহিলা মোর্চার ডাকে সব নারী-পুরুষ পথে নেমে আসুন। এই আন্দোলন বিজেপির নয়, এটা জনতার আন্দোলন।
এরপর এক প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, এটা ছাত্রদের আন্দোলন? না সমাজবিরোধীদের আন্দোলন? এরা ছাত্র? সবাই দেখেছে কারা ব্যারিকেড ভাঙতে গেছে। জনতাকে ঠেকাতে যেটুকু করা দরকার সেটুকুই করেছে পুলিশ। কোনো দমনপীড়ন চালায়নি। আবার এর পরপরই বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। ওদের মুখোশ খুলে গেছে।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল ছাত্রসমাজ। সেজন্য মঙ্গলবার সকাল থেকেই নবান্ন চত্বরে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। তার মধ্যেই বেলা বাড়তে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। স্লোগান ওঠে, ‘দফা এক, দাবি এক, মমতার পদত্যাগ।’ পরিস্থিতি সামাল দিতে জলকামান চালানো শুরু করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। ছত্রভঙ্গ হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা।
খুলনা গেজেট/এএজে