দিল্লি বিস্ফোরণের জেরে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম কিংমেকার অমিত শাহের কলকাতা সফর বাতিল হয়েছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে। ঠিক একইভাবে রাজনৈতিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আবারো অমিত শাহর কলকাতা সফর বাতিল হল এই মার্চে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্ব ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সভাকে কার্যত পাখির চোখ করেছেন। কারণটা খুব সঙ্গত, সম্প্রতি ২৮ ফেব্রুয়ারির বাম- কংগ্রেস- আই এস এফের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশ ও তার যে জনজোয়ার তা কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের যুযুধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি ও তৃণমূলকে ভাবিয়ে তুলেছে।
বাম-কংগ্রেস-আই এস এফের ব্রিগেড সমাবেশের উত্তাল জনসমুদ্র ভোটের অঙ্ককে বদলে দিতে পারে বলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পর্যবক্ষেকরা মনে করছেন । একদিকে তরুণদের ঢল, অন্যদিকে মধ্যবিত্ত, আদিবাসী-সংখ্যালঘু মানুষের জনজোয়ার তৈরি হয়েছিল। আগামী ২৭ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দফা ভোট। সেই ভোটকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সভাকে পাখির চোখ করেছেন। ৭ মার্চের মোদীর ব্রিগেডের এই সভাতেই তৃণমূলের একটা বড় অংশ, বেশ কিছু বিধায়ক, মন্ত্রী ও সংসদ বিজেপিতে যোগদান করবেন। এর ফলে তৃণমূলে কার্যত একটি বড়সড় ভাঙন শুধু সময়ের অপেক্ষা। পাশাপাশি মোদীর সফরকে ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের অন্য সাহস যোগাবে। সব মিলিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ৭ মার্চের ব্রিগেড সমাবেশ আরো অনেক কিছু বদলে দেবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।
খুলনা গেজেট/এনএম