নড়াইলে স্ত্রী মমতাজ বেগম হত্যা মামলায় স্বামী হেদায়েত শেখকে (৫৫) মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর ২ আসামিকে খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. কেরামত আলী এ আদেশ দেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হেদায়েত শেখ লোহাগড়ার পদ্মবিলা গ্রামের মৃত গোলাম রব্বানীর ছেলে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, খলিল শেখ ও আঞ্জুয়ারা বেগম। রায়ের সময় হেদায়েত শেখ পলাতক ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ৫ থেকে ৬ বছর আগে প্রথম স্ত্রী মমতাজ বেগম থাকা সত্ত্বেও হেদায়েত শেখ আঞ্জুয়ারা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে আঞ্জুয়ারা বিভিন্ন সময়ে মমতাজকে খুন করে গুম করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের ৩ ফ্রেরুয়ারি রাত ৮টার দিকে বাদীসহ তার মা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে বাদী তার মাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এ সময় বাদী তার বাবা হেদায়েত শেখের লুঙ্গিতে রক্ত দেখে কারণ জানতে চান। তার বাবা বলেন, সকালে তিনি একটি গরু জবাই করেছেন।
একথা বলে হেদায়েত শেখ ও তার ২য় স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম পালিয়ে যান। পরে বাদীসহ তার আত্মীয়-স্বজনরা পদ্মবিলের একটি জমিতে মমতাজের মৃতদেহ দেখতে পান। মৃতদেহের গলাকাটা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিলো।
এ ঘটনায় হেদায়েত শেখের ১ম স্ত্রী মমতাজ বেগমের ছেলে রবিউল বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিহতের স্বামী হেদায়েত শেখ, খলিল শেখ ও ২য় স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে হেদায়েত শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া অপর ২ আসামিকে খালাস দেন বিচারক।