সেনাবাহিনী ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জেলায় করোনায় কর্মহীন, অসহায়, দুস্থ ও শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর মাঝে খাদ্যসহায়তা বিতরণ এবং বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে আজ (বুধবার) দুপুরে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিরালা আর্দশ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রায় ছয়শত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হয়।
খাদ্যসহায়তা বিতরণে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনী যশোরের ১০৫ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ হাফিজুর রহমান। প্র্রধান অতিথি বলেন, সেনাবাহিনী করোনা মহামারীর এই ক্রান্তিকালে সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশনায় অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। মুলত: করোনা মহামারীকালীন সর্বস্তরের জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিই এই টহলের প্রধান উদ্দেশ্য। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ সংকুলান করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে খাবার, পানীয়, জরুরি চিকিৎসাসেবা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই দুর্যোগের মূহুর্তে দেশ ও জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও সরকারের যেকোন নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে লে: কর্ণেল মির্জা আহমেদ ইসতিয়াক হাসান, মেজর এ এইচ এম নাজমুল হাসান, খুলনার উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ এহসান শাহ, খুলনার জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারপ্যাসন অধ্যাপিকা রুনু ইকবাল, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সেনাবাহিনী যশোরের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ হাফিজুর রহমান খুলনা সেন্ট যোসেফস উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, বিকেলে খুলনা পিটিআই চত্ত্বরে চারশ জন কর্মহীন, অসহায়, দুস্থ ও শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর মাঝে খাদ্যসাহায়তা বিতরণ করা হয়।
খাদ্যসহায়তার মধ্যে ছিলো জনপ্রতি পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি মুসরির ডাল, তিন কেজি আলু, দুই লিটার তৈল, এক কেজি লবণ ও দুই কেজি চিনি। পর্যায়ক্রমে খুলনা জেলায় প্রায় চার হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই