নর্দান ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের ছাত্র প্রমিজ নাগের আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছে তার প্রেমিকা সুরাইয়া ইসলাম মিমের বিরুদ্ধে। প্রমিজ মারা যাওয়ার পর থেকে মিম পলাতক রয়েছে। তাকে কোথাও খুঁজে পায়নি পুলিশ। মিম নড়াইল জেলার কালিপুর উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মোঃ আবুল কালাম আজাদের মেয়ে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হরসিৎ মন্ডল বলেন, মিম ও প্রমিজ নাগ খুলনা নর্দান ইউনির্ভাসিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী। একই বিভাগে পড়ার কারণে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের এ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মিম প্রায়ই প্রমিজ নাগের ভাড়াবাড়িতে এসে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করার পর ওই বাসা থেকে বের হয়ে যেত। ২০ জুন তাদের সর্ম্পকের ফাটল ধরে। ওইদিন তাদের উভয়ের মধ্যে বচসা হয়। একসময়ে ভারি একটি বস্তু দিয়ে প্রমিজের মাথায় আঘাত করে মিম। তবে কি নিয়ে তাদের এ সম্পর্কের অবনতি হয় তা তিনি বলেননি।
তিনি আরও বলেন, ১২৩ নং গোবরচাকা এলাকার নুর ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মিম। সে নড়াইল জেলার কালিপুর উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মোঃ আবুল কালাম আজাদের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে সে। যোগাযোগের যে মাধ্যম সেটিও বন্ধ রেখেছে। প্রমিজের ভাই প্রীতিশ কুমার নাগ বাদী হয়ে মিমের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে মিম গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে খুঁজে পেলে আত্মহত্যার কারণ জানা যাবে। প্রমিজের বন্ধুরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাবেনা বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান।
ভাই প্রীতিশ কুমার নাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে চায়নি। তিনি শুধু ভাই আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়েরের কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, বুধবার (২২ জুন) নগরের সোনাডাঙ্গা থানাধীন সিটি ইন হোটেলের পিছনের একটি বাড়ি থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের ৫ম বষের্র ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ওই এলাকায় বেশ চঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরের দিন ভাই আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে একই বিভাগের ছাত্রী সুরাইয়া ইসলাম মিমের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রমিজ নাগ পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সাচিয়া গ্রামের জোতিন্ময় নাগের ছেলে। আত্মহত্যার সময় তার পকেটে একটি চিঠি পায় পুলিশ। তবে তাতে কি লেখা আছে তা জানানো হয়নি।
খুলনা গেজেট/ টি আই