খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, মাফিয়া সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে মেরামত করার জন্য অন্তর্র্বতী সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। ১৫ বছরের জঞ্জাল ভেদ করে চলমান সংস্কার কার্যক্রম অবশ্যই একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি, এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করতে গিয়ে জনগণের প্রতিদিনের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা না গেলে জনগণের রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার বিষয়টি উপেক্ষিত থাকলে অর্ন্তর্র্বতী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়বে। ফলে এই সরকারের কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এজেন্ডা নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি।
রবিবার (৩ নভেম্বর) খালিশপুর থানার অর্ন্তগত ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বিবার্খিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি বরাবরই নাগরিকদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার ওপরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। কারণ বিএনপি মনে করে একটি রাষ্ট্রে ভোটবিহীন নাগরিকের অবস্থা যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণবিহীন একজন সৈনিকের মতোই নাজুক। নাগরিকের ভোট প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করা গেলে, রাষ্ট্র এবং সমাজে নাগরিকদের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। শেখ হাসিনা কথা কথায় বলেছে দেশটা নাকি তার বাবার। শেখ হাসিনা পালায় না। এখন কোথায়? বাবা শেখ মুজিব গেছে কাফনের কাপড় নিয়ে-শেখ হাসিনা পালিয়েছে সুটকেস নিয়ে। ক্ষমা চিরদিনের জন্য নয়। আল্লাহ অন্যায়কারীকে ক্ষমা করে না। ১৬ বছর বিএনপিসহ বিরোধীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন, গুম, খুন করা হয়েছে। আজো প্রশাসনে শেখ হাসিনা প্রেতাত্মারা বসে আছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিএনপি নেতা রিয়াজ শাহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। উদ্বোধন করেন থানা বিএনপির আহবায়ক শে,খ জাহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাহবুব হাসান পিয়ারু, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন স ম আব্দুর রহমান, রেহেসা ঈসা, আবুল কালাম জিয়া, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ সাদী, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস প্রমূখ।সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে সভাপতি পদে লিটন খান, সাধারণ সম্পাদক শেখ জাকির হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে হৃদয় হাশেম হাসমতকে নির্বাচিত ঘোষনা করেন।
অপরদিকে রবিবার (৩ নভেম্বর) মহানগরীর ০২নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ফুলবাড়ীগেট জনতা মার্কেট চত্বরে ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে বিকাল সাড়ে ৩ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা। প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন । বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম জিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ বাবু, খানজাহান আলী থানা বিএনপির সদস্য সচিব আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনার ও তার আওয়ামী লীগের জায়গা এই বাংলাদেশে আর হবে না। বাংলাদেশের জনগণ তাদের আর দেখতে চায় না, তারা দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে, দেশে গণহত্যা চালিয়ে এ দেশ থেকে পালিয়েছে। তাদের জায়গা এ দেশের মাটিতে আর কখনই হবে না।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন খানজাহান আলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী মিজানুর রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন শেখ সাদী, শেখ আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, আতাউর রহমান মোড়ল, জাহিদুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন মিজান, জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, রফিকুল ইসলাম রফিক, ফরহাদ হোসেন, মিনা মুরাদ, মনির মীর, ফকির রবিউল ইসলাম,শাহ আলম শিকদার, আবুল কালাম আজাদ, আজমল হোসেন, শেখ মিজানুর রহমান, শওকত হোসেন হিটু, মামুন শেখ, শাহাবুদ্দিন বুদ্ধি, মোস্তফা জামাল শেখ,চমন আরা, শাম্মী চোধুরী মলি, রেশমী সুলতানা, বিল্লাহ হোসেন, মাসুম বিল্লাহ, হাবিবুর রহমান বিপ্লব মোল্লা সোহরাব হোসেন, শহিদুল ইসলাম সোহেল, মাসুম খান, মেহেদী হাসান বাপ্পি,আল মামুন, জুয়েল হাওলাদার, শাহাদাত হোসেন সাজু সহ মহানগর, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনের শেষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক রেহেনা ঈসা ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদে ইকবাল হোসেন মিজান, সাধারণ সম্পাদক পদে রফিকুল ইসলাম রফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ রইচ উদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষনা করেন। -খবর বিজ্ঞপ্তির।
খুলনা গেজেট/কেডি