ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমের গুম এবং বহু বিরোধী নেতাকর্মীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত শেখ হাসিনাকে বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিল্লির পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, পাশের দেশে বসে মাফিয়া রানী শেখ হাসিনা আবারো দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। অন্তর্বরতীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনুন, যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় খালিশপুর থানার অর্ন্তগত ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া সিন্ডিকেটের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেত্মারা জড়িত। আলু সিন্ডিকেট, পেঁয়াজ সিন্ডিকেট ও চিনি সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতরা আবারও সতর্ক হয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানিয়ে মনা আরো বলেন,আমরা যত বেশি অপেক্ষা করব, তত বেশি তারা নিজেদের জাহির করবে… তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং তাদের থাবা ভাঙতে হবে। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন থানা বিএনপির আহবায়ক শেখ জাহিদুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন স ম আব্দুর রহমান, কাজী মাহমুদ আলী, আবুল কালাম জিয়া, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ সাদী। বিশেষ বক্তা ছিলেন থানা বিএনপির সদস্য সচিব হাবীবুর রহমান বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, ফারুক হোসেন হিল্টন, আজিজা খানম এলিজাসহ অনেকে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি পদে হাসান উল্লাহ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক পদে মফিজুর রহমান মাজু ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আব্দুল হাই কালুকে নির্বাচিত ঘোষনা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বেগম রেহোনা ঈসা।
এদিকে মঙ্গলবার (৫নভেম্বর) বিকাল ৩টায় শিরোমণি শহীদ মিনার চত্বরে খানজাহান আলী থানা বিএনপির অর্ন্তগত আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. শফিকুল আলম মনা।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের ভবিষ্যদ্বাণী ছিল শেখ হাসিনার পতনের পরে দেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। অন্তত পাঁচ লক্ষ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হবে! তাদের এই ধারণার কারণ ছিল তাদের অত্যাচার নির্যাতন লুটপাট খুন গুম আয়না ঘরের অসংখ্য নজিরবিহীন ঘটনা। তারা অনুমান করেছিল তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত একটি ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে! সৌভাগ্য বাস্তবে ৫ জন নেতা কর্মীকেও হত্যা করা হয়নি! বিরোধী দল এবং অত্যাচারিত জনগণ সংযমের পরিচয় দিয়েছে।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন খানজাহান আলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী মিজানুর রহমান। আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শেখ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম জিয়া ও মাসুদ পারভেজ বাবু, শ্রমিক দল নেতা মোঃ মুজিবুর রহমান, খান জাহান আলী থানা বিএনপির কমিটির সদস্য সচিব আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ এমদাদুল হক। বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন শেখ সাদী, আলমগীর হোসেন, আতাউর রহমান মোড়ল, জাহিদুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন মিজান, জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, রফিকুল ইসলাম রফিক, মশিউর রহমান, মিনা মুরাদ হোসেন, ফকির রবিউল ইসলাম, মোল্লা সোহরাব হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ আজমল হোসেন, শেখ মিজানুর রহমান, শওকত হোসেন হিট্টু, মামুন মেম্বার, শাহাবুদ্দিন বুদ্ধি, মোস্তফা জামাল, শহিদুল ইসলাম সোহেল, মোহাম্মদ হেলাল শরীফ, রেশমি সুলতানা, শাম্মি চৌধুরী মলি, বিল্লাল হোসেন, মাসুম বিল্লাহ, হাবিবুর রহমান, মাসুম খান, মেহেদী হাসান বাপ্পি, আল মামুন জুয়েল, আনোয়ার হোসেন, মাষ্টার রফিকুল ইসলাম,সহ গিলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি পদে সমান ভোট পড়ায় পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহন, সাধারণ সম্পাদক পদে খোকা ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শেখ আনোয়ার হোসেনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বেগম রেহানা ঈসা। – খবর বিজ্ঞপ্তির।
খুলনা গেজেট/কেডি