বেলা সোয়া ১১ টা। খুলনা নগরীর ময়লাপোতা মোড়। ইজিবাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন রহিম নামের এক যুবক। পথিমধ্যে দায়িত্বরত পুলিশের বাধা। আটক করা হয় তার গাড়ি। কাকুতি মিনতি করেও কাজ হয়নি, বলা হয় সন্ধ্যায় এসে গাড়ি নিতে। কাঁদতে কাঁদতে চলে যায় চালক।
ময়লাপোতা মসজিদের সামনে এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় রহিমের। তিনি টুটপাড়া মওলার বাড়ি খালপাড় এলাকার বাসিন্দা। রহিম জানালেন, “দু’সন্তান-স্ত্রীসহ ছয় সদস্য নিয়ে পরিবার। জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হলে দু’বেলা ঠিকমতো খাবার খেতে পারেনি। এতদিন অলিগলি দিয়ে চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছি। আজ শনিবার ভাল একটি ভাড়া পেয়ে বড় রাস্তায় এসেছিলাম। ময়লাপোতা মোড়ে এসে যে এরকম ধরা খাবো তা ভাবেনি। গাড়ি আটকে রাখায় সারাদিনের আয় বন্ধ থাকলেও মালিককে ঠিকই ভাড়া দিতে হবে।”
শহিদ নামের এক রিক্সাচালক জানান, ঈদের আগে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে খাদ্য পেয়েছিলেন। তাতে তার পাঁচ দিন বেশ ভালো কেটেছে। এরপর কোন সাহায্য সহযোগিতা না পেয়ে তিনি রাস্তায় নেমেছেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে সারা দেশের ন্যায় খুলনায়ও কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু লকডাউন ক্রমশ ঢিলাঢালা হয়ে আসছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ শনিবার সকল থেকে নগরীতে সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদের মধ্যে অনেকেই অকারণে নগরীতে ঘুরতে বের হয়েছে।
দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য জানান, করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে এদের সুস্পষ্ট কোন জ্ঞান নেই। অনেক ক্ষেত্রে তাদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম