আশানুরূপ ফলনে চলতি মৌসুমে খুলনার ডুমুরিয়ায় ধান কাটার ধুম পড়েছে। ফলন পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে আমন ধান কাটার উৎসব চলছে। দিগন্ত জোড়া মাঠের সোনালী ধান কাটা, মাড়াই করা ও ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক কৃষানীরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ১৫হাজার ৯শত ৫০হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। যার প্রায় ১শ হেক্টর জমিতে আধুনিক ব্রি ধান-৮৭, বিনা ধান-১৭ ও ৭৫-জাতের আমন ধান চাষ করা হয়েছে। আধুনিক জাতের আমন চাষ করতে প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১০/১২ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এতে ১৮/২০ মণ ধান উৎপাদন হবে। বিঘা প্রতি ধান বিক্রি করে প্রায় ১৮/১৯ হাজার টাকা ও খড় (বিচালি) বিক্রি করে প্রায় ৪/৫ হাজার টাকা আয় হবে কৃষকের।
আমন ধান চাষে খরচ বাদে বিঘা প্রতি প্রায় ১৩/১৪হাজার টাকা লাভ হবে। এদিকে সোমবার থেকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিনের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় নমুনা শস্য কর্তন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
উপজেলার চাকুন্দিয়া গ্রামের কৃষক জালাল গাজী, আকাম আলী, রাহাজদ্দিন গাজী জানায়, ব্রি ধান-৮৭ ও বিনা ধান-১৭ জাতের আমন আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমন ধান চাষ করেছি। ফলে বোরো আবাদ শুরু হওয়ার আগে নিশ্চিন্তে আমন ধান ঘরে তুলতে পারবো। আমন ধান চাষ করে তারা অনেক লাভবান হবে বলে জানান। তারা আরও জানায়, আমন আবাদে পোকা-মাকড়ের ঝামেলা কম। এজন্য আমন চাষে কৃষকের আগ্রহ বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, ডুমুরিয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপজেলার কৃষকদের ধান চাষের প্রশিক্ষণসহ উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সরজমিনে মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের হাতে কলমে ধান চাষে সহযোগীতা করেছে। একারণে ডুমুরিয়ায় এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া যে সকল কৃষক দেশীয় জাতের সাদা বায়াইল্যা, লাল বায়াইল্য, সাদা আশ্বিনা, লাল আশ্বিনা জাতের স্থানীয় আমন চাষ করেছে তাদেরও এবার বাম্পার ফলন হয়েছে।