সংসদে দ্রুত ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলার নেতৃবৃন্দ।
সকল ধর্ষণের অপরাধীদের ফাঁসির দাবি ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (৯ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় নগরীর নিউমার্কেট বায়তুন নুর মসজিদ কমপ্লেক্সের সামনে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন এবং জেলা সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল মামুন সমাবেশ পরিচালনা করেন। মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ আব্দুল আউয়াল।
প্রধান অতিথি বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় এবং দীর্ঘসূত্রিতার বিচার ব্যবস্থার কারণে ধর্ষণ এবং পৈশাচিক নারী নির্যাতনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু এখন ধর্ষণ যেভাবে মহামারি আকার ধারণ করেছে তা ঠেকানোর জন্য গ্রেফতার নাটক মঞ্চায়িত করা হয়। কিন্তু এখন দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রাণের দাবী হল ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে সংসদে মৃত্যুদণ্ডের আইন প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনীর হাতে আমাদের মা-বোনেরা ইজ্জত হারিয়েছে বিধায় আমরা তাদেরকে ঘৃণাভরে স্মরণ করি। আর এখন ইজ্জত হারাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে। তবে তারাও হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা নয় কি? আমরা সরকারের প্রতি স্পষ্ট একটি বার্তা দিতে চাই- দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন করা না হলে চলমান ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের দাবানল সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। কারণ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা কোন অন্যায় অবিচার সহ্য করেনি কখনো করবেও না।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওঃ আব্দুল্লাহ ইমরান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহ সভাপতি মাওঃ মোজাফ্ফার হোসাইন, মুফতী মাহবুবুর রহমান,জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি শেখ জামিল আহমদ, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওঃ দ্বীন ইসলাম, জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা আসাদুল্লাহ হামিদি প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে এক বিশাল মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
খুলনা গেজেট/নাফি