ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ আব্দুল আউয়াল বলেন, চাল, পেঁয়াজসহ দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে জনজীবন চরম দুবির্ষহ হয়ে উঠছে। পেঁয়াজের দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি। তরি তরকারি, ডাল, মরিচসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের আকাশচুম্বি মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এছাড়া দেশব্যাপি ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি ও যশোরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) কে কটুক্তিকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তিনি।
শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন খুলনা মহানগর ও জেলার বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিকাল ৩ টায় নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলার উদ্দোগে এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান ও পরিচালনা করেন নগর সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, বর্তমানে সরকার বিগত ১ যুগ ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় ধর্ষণ আজ মহামারি আকার ধারণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়ে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। আর এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত সরকার দলীয় লোকজন। ফলে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। ‘অবিলম্বে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করতে হবে। অন্যথায় সাধারণ মানুষ জীবনের তাগিদে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে’।
তিনি সিলেটে পুলিশী হেফাজতে রায়হান হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
প্রধান বক্তা মুফতী আমানুল্লাহ বলেন, আজ আইনের শাসন না থাকার কারনে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়েও কটুক্তি করার সাহস পায়, তিনি অবিলম্বে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিঠুনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সহ-সভাপতি শেখ জামিল আহমদ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আলী আহমদ, ইসলামী আন্দোলন নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ মুফতী ইমরান হোসাইন, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আসাদুল্লাহ আল গালিব, সহ সাংগঠনিক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, জেলা সহ সাংগঠনিক মাওলানা মুজিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক ডাঃ মাওঃ নাসির উদ্দিন, জেলা প্রচার সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশিদ, নগর সহ প্রচার ফেরদৌস গাজী, জেলা সহ প্রচার এস কে নাজমুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম, জেলা দপ্তর মাওলানা আব্দুস সাত্তার হালদার, সহ দপ্তর মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা সহ দপ্তর মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধা জিএম কিবরিয়া, জেলা অর্থ সম্পাদক মোঃ হুমায়ূুন কবির, সহ অর্থ আলহাজ্ব মোমিনুল ইসলাম, জেলা সহ অর্থ হাফেজ মোস্তাফিজুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওঃ হাফিজুর রহমান, মাওলানা মাহবুবুল আলম, মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ আকিছুর রহমান, মোঃ আব্দুুুল্লাহ আল নোমান, মাওঃ আবু সাঈদ, মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, মোঃ আবুল কালাম আজাদ, হাফেজ আবুল কালাম আজাদ, মাওঃ শায়খুল ইসলাম বিন হাসান, এ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, আলহাজ্ব আব্দুস ছালাম, আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, হাফেজ আব্দুল লতিফ, আব্দুল জলিল, আলহাজ্ব আবু তাহের, জিএম নওশের আলী, শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, মুফতী অহিদুল ইসলাম, মুফতী রাসেল কবীর হুসাইন, মুফতী রশীদ আহমেদ, মুফতী মোসতাক আহমেদ, হাফেজ খায়রুল ইসলাম, বন্দ সরোয়ার হোসাইন, জেলা সদস্য মোঃ রিপন হোসেন, আলহাজ্ব আব্দুর রউফ শেখ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন নগর সভাপতি আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন নগর সাধারণ সম্পাদক মুফতী আমিরুল ইসলাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নগর সভাপতি এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, নগর সহ সভাপতি আব্দুস সালাম, জেলা সহ সভাপতি কেএম মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঈনুল ইসলাম, বিএল কলেজ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ কামরুজ্জামান, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ সজীব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ