হেডলাইন দেখে হয়তো অনেকেই চমকে উঠেছেন। চমকে উঠলেও এটাই সত্য, ধর্মশালায় আজ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ পাঁচ আফ্রিকান। নেদারল্যান্ডসের বর্তমান বিশ্বকাপ স্কোয়াডে এমন পাঁচজন ক্রিকেটার আছেন, যারা দক্ষিণ আফ্রিকান হয়েও ডাচ জার্সিতে খেলছেন।
তারা হলেন– ওয়েসলি বারেসি, রায়ান ক্লেইন, রুফল ফন ডার মারউই, সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট ও কলিন অ্যাকারম্যান। তাদের মধ্যে চারজন এরই মধ্যে বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন। তিনজন চলমান আসরে ডাচদের হওয়া দুটি ম্যাচেই অংশ নিয়েছেন। আজ নিজ জন্মভূমির বিপক্ষে ব্যাটিং বা বোলিংয়ে দ্যুতি ছড়াতে হবে তাদের।
কলিন অ্যাকারম্যান– ডাচদের ব্যাটিং অলরাউন্ডার। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হায়দরাবাদে করেন ৬৯ রান। এর আগে পাকিস্তানের সঙ্গে করেন ১৭। আজ প্রেটিয়াদের বিপক্ষেও তাঁকে নিতে হবে গুরুদায়িত্ব। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে জন্ম নেওয়া আরেক অলরাউন্ডার সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটও চাইবেন প্রোটিয়ারা হারুক। রুফল ফন ডার মারউইও আছেন ছন্দে।
সর্বশেষ কিউইদের সঙ্গে ৫৬ রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেন তিনি। আজ যখন ধর্মশালায় দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় সংগীত বাজবে, তখন এই পাঁচজনের কেউ মুখ নাড়লেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
তবে এই পাঁচজন প্রতিপক্ষ হলেও এখনকার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো যে সহজ হবে না, সেটা ভালো করেই জানা তাদের। দুর্দান্ত ফর্মে আছে প্রোটিয়ারা। টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে দলটি। এর মধ্যে তাদের টপঅর্ডারের খেলোয়াড়রা আছেন ছন্দে।
বোলিং আক্রমণ আরও শক্তিশালী হতো যদি নরখিয়া থাকতেন। বেরসিক চোট তাঁকে থাকতে দিল না। তবু রাবাদা-এনগিডিরা ভালোই ছন্দে আছেন। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়াকে তারাই চেপে ধরেন। সেই সঙ্গে স্পিন আক্রমণে কেশব মহারাজও ভালো করছেন। দলের প্রয়োজনে তাবরিজ শামসিকেও উইকেট নিতে দেখা যায়। তবে ডাচরাও সহজে ছেড়ে দেওয়ার দল নয়। দলে একাধিক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন, তারা যে কোনো সময় ম্যাচের গতি বদলে দিতে পারেন। তা ছাড়া বাস ডি লিড আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। তাঁর দিনে যে কোনো প্রতিপক্ষের সুবিধা করা কঠিন হয়ে যায়।
খুলনা গেজেট/এনএম