বৈশি্বক পরিস্থিতির কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সরকার নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। পরিস্থিতি নাগালের মধ্যে রাখতে প্রতি মাসেই বাজারে মোবাইল কোর্ট চলছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে পরামর্শ দিতে খুলনা জেলা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সভা সোমবার (৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হবে। সভা বসবে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১টায়।
জেলা প্রশাসনের বাজার নিয়ন্ত্রণ কমিটির রেকর্ড অনুযায়ী, আগস্ট মাসের তুলনায় চাল, ডাল, সয়াবিন, গরুর মাংস ও দেশী মুরগির দাম বেড়েছে। মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকার পরিবর্তে ৪৮-৫০ টাকা, মাঝারি ৫৬-৬০ টাকার পরিবর্তে ৫৮-৬২ টাকা, চিকন ৬৬-৭০ টাকার পরিবর্তে ৬৮-৭২ টাকা, দেশী মসুরের ডাল ১২৫-১৩০ টাকার পরিবর্তে ১৩০-১৪০ টাকা, সয়াবিন ১৬২-১৬৪ টাকার পরিবর্তে ১৯০-১৯৩ টাকা, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০-৬৬০ টাকার পরিবর্তে ৬৭০ টাকা, দেশী মুরগি কেজি প্রতি ৪০-৮০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রাতারাতি মূল্যবৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটকে দোষারোপ করেছেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকদার উল্লেখ করেন, পাইকারি বাজারের সাথে খুচরা বাজারের সামঞ্জস্য রাখতে হবে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, প্রতি মাসেই মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।
ওই সভায় ক্যাবের প্রতিনিধি আব্দুস সালাম মন্টু উল্লেখ করেন, প্রকারভেদে চাল ঢাকায় ৭১ টাকা হলেও খুলনায় তা ৮১ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ভোজ্যতেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। মসুরের ডাল কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। মহল্লাভিত্তিক দোকানগুলোতে পণ্যসামগ্রী বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই