যশোরের অভয়নগর থেকে প্রকাশিত দৈনিক নওয়াপাড়ার সম্পাদক ও প্রকাশক আসলাম হোসেন আর নেই। রোববার ভোর সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নওয়াপাড়ার বার্তা সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান খুলনা গেজেটকে বলেন, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ১৬ দিন ভর্তি ছিলেন। করোনা থেকে তিনি সেরে উঠেছিলেন। কিন্তু করোনা-পরবর্তী ফুসফুস জটিলতা থাকায় ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
মরহুমের প্রথম জানাজার নামাজ বাদ মাগরিব নওয়াপাড়া পীরবাড়ি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। তার নিজ গ্রামের বাড়ি শংকরপাশা নূরানী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে। বলিষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আসলাম হোসেনের মৃত্যুতে অভয়নগরবাসী গভীরভাবে শোকাহত। এছাড়া মৃত্যুতে সাংবাদিকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
এছাড়া তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ, শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লাসহ নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ। অপরদিকে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে)’র নেতৃবৃন্দ । বিবৃতিদাতারা হলেন, সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সহ-সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবীর ও মহেন্দ্রনাথ সেন, সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য মোঃ সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, যুগ্ম সম্পাদক নেয়ামুল হোসেন কচি, কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ পাল, দপ্তর সম্পাদক জয়নাল ফরাজী, নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, আল মাহমুদ প্রিন্স ও বিমল সাহা। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য এস এম ফরিদ রানা।
খুলনা গেজেট /এআর/এনএম/ টি আই