তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের তথ্য দেশে রাখতে ডাটা প্রাইভেসি প্রটেকশন আইন করার কথা ভাবছে সরকার। এখনই না হোক আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে এ ব্যাপারে দৃশ্যত রুপ দেখা যাবে। গুগল, ফেসবুকসহ আরো কয়েকটি প্রযুক্তি কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশের গুরুত্ব সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সেক্টরের তথ্য চলে যাচ্ছে বিদেশে।
তিনি বলেন, শুধু তথ্য নয়, এদেশের মানুষের বিশাল অংকের টাকাও চলে যাচ্ছে বিদেশে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেশে নিজেদের কোনো বেকআপও নেই অনেক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের। যে কারণে তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডাটা রিকভারি সাইটের বিকল্প নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ৪৯ বিজিবি যশোর সদর দপ্তরে ডাটা সেন্টার ডিজাস্টার রিকভারি সাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এছাড়া, মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, ডাটা সংরক্ষণের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে আত্মনিভশ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। সরকারি তত্ত্বাবধানে আগারগাঁও আইসিটি টওয়ার, সি আর ফের ডাটা সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। পাশাপাশা বিজিবির এই ডাটা সেন্টার ডিজাস্টার রিকভারি সাইটটিও অত্যাধুনিক। এর ডাটা ধারণ ক্ষমতাও বেশি। তিনি বলেন, সীমান্ত ব্যাংকের ডাটা সংরক্ষণ ছাড়াও বিজিবির অভিযানিক কার্যক্রমকে আধুনিক যুগোপযোগি ও গতিশীল করতে এই সাইটটি বিশেষ কার্যকর হবে।
অনুষ্ঠানে বিজিবির এই ডাটা সাইটের নানা তথ্য তুলে ধরা হয়। দূর্যোগ বা দূর্ঘটনায় এই ডাটা সেন্টার ডিজাস্টার রিকভারি সাইটে অধিক নিরাপত্তার সাথে সুরক্ষিত হবে। বিজিবির সদর দপ্তরের নিজস্ব আইটি বিশেষজ্ঞ টিম এ কাজটি করেছেন। এতে কোনো বিদেশি এক্সপার্ট আনা হয়নি। আশা করা হচ্ছে অধিক নিরাপত্তার সাথে বিজিবির সকল ডাটা সংরক্ষণ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন সেক্টর ও প্রতিষ্ঠানের ডাটা সংরক্ষণ করা যাবে। এই সাইটটির সুফল হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুর ইসলাম, জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, যশোরের সিও সেলিম রেজা প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেএম