নড়াইলে নানা প্রজাতির দেশি ও বিদেশি ফুলের চাষ করে সাফল্যে আলামিন। ফুল চাষ করে তাক লাগিয়েছেন তিনি। জারবেরা, রজনীগন্ধা, টিউলিপসহ নানা প্রজাতির দেশি ও বিদেশি ফুলের চাষ করে সাফল্যের এক নবদুয়ার উন্মোচন করেছেন আলামিন মোল্যা নামের এক যুবক।
তিনি ২০২১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে গ্লাডিওলাস ও গোলাপ দিয়ে চাষ শুরু করেন। বর্তমানে ২ একর জমিতে তার ফুলের বাগান রয়েছে। জিফা অ্যান্ড তায়েবা এগ্রো নামক তার এই ফুলের বাগান থেকে উৎপাদন খরচ বাদে প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার টাকা লাভ করেন।
নড়াইল শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের পোড়াডাঙা গ্রামের আলামিন মোল্যা পেশায় একজন ফুলের ব্যবসায়ী।
আলামিন বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ২০২১ সালে নিজ গ্রামে গ্লাডিওলাস ও গোলাপ ফুলের চাষ শুরু করি। ফুল উৎপাদন আশানুরূপ হওয়ায় পরবর্তীতে ২ একর জমিতে রজনীগন্ধা, টিউলিপ, জারবেরাসহ বেশ কয়েক প্রজাতির ফুল উৎপাদন শুরু করি।
নড়াইলের ফুলের বাজার ছাড়াও বিভিন্ন আনন্দ অনুষ্ঠানের অর্ডারের পাশাপাশি ঢাকার শাহবাগের পাইকারি ফুল মার্কেটেও রয়েছে তার ফুলের ব্যাপক চাহিদা। তিনি এলাকার বেকার যুবক ছেলেমেয়েদের ফুল চাষে উৎসাহিত করতে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ফুল বাগানের মালি শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, এখানে ফুলের বাগান হওয়ায় আমার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। আমি যে বেতন পাই এই দিয়ে আমার সংসার ভালোভাবে চলে। বাগান দেখাশুনা করি, আগাছা পরিষ্কার করি, সময়মতো সার কীটনাশক ব্যবহার করে থাকি। এলাকার উৎসুক জনতা প্রতিদিন ফুল বাগানে যান ফুল কিনতে, সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে, কেউ কেউ আবার সঙ্গী নিয়ে সেলফি তুলতে আসেন।
লোহাগড়া থেকে ফুল বাগানে ঘুরতে আসা আবদুল্লাহ-আল মারজান বলেন, আমরা আলামিনের ফুলের বাগান দেখতে এসেছি। এ রকম ফুলের বাগান নড়াইলে এই প্রথম, আমরা চাই এই রকম বাগান নড়াইলে আরও হোক।
নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি অফিসার রোকনুজ্জামান বলেন, আলামিনের ফুল উৎপাদন জেলায় একটি অনন্য নজির। বাগান থেকে কি করলে ভালো কিছু করা যায়, আমরা তাকে পরামর্শ দেব। আমরা আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে নড়াইলে কৃষিতে ফুলের সুবাস আসবে। এটা যে একটা লাভজনক ব্যবসা এটা তার উদহারণ। আমরা চাই এই ফুল চাষে মানুষ আরও আগ্রহী হোক।
নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, ফুলের বাগানটি কিছুদিন আগে পরিদর্শন করে আমার খুব ভালো লেগেছে। নড়াইলে এই প্রথম এই ধরনের ফুলের চাষ করায় উদ্যেfক্তাকে ধন্যবাদ জানাই।
খুলনা গেজেট/এনএম