সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন আ’লীগের চার নেতা। নৌকার মাঝি হতে বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন দেবহাটার চার নেতা।
চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারিদের মধ্যে রয়েছেন দেবহাটা উপজেলা আ’লীগের বর্তমান সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান, উপজেলা আ’লীগের পরপর তিনবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ এবং সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম।
এদিকে দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলাব্যাপী বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী আমেজ। চায়ের দোকান থেকে কাঁচাবাজার, দিনমজুর থেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা সর্বত্র সকলের মুখেই নির্বাচনী গুঞ্জন। চলছে প্রার্থীদের নিয়ে চুলচেরা বিশে¬ষন, আর আলোচনা-সমালোচনা। কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি, তা নিয়েও দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। এরই মধ্যে দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
দলীয় মনোনয়ন এর ব্যাপারে দেবহাটার অধিকাংশ নেতারা এখন রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার তদবীর আর দৌড়ঝাপে সেখানেই ব্যস্ত সময় কাটছে দেবহাটা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতাসহ সম্ভাব্য প্রার্থীদের। প্রত্যেক প্রার্থীই তাদের সর্বোচ্চ শক্তি ও যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বপক্ষে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন নেতাদের দিয়ে তদবীর করিয়ে নেয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছেন। তবে নৌকার চুড়ান্ত মনোনয়ন কাকে দেয়া হবে তার বেশিরভাগই নির্ভর করছে সাতক্ষীরা-৩ আসনের সাংসদ অধ্যাপক ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক এমপি, সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সুপারিশ এবং সর্বোপরি আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের উপর।
ইতিমধ্যেই সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করা এসকল আওয়ামী লীগ নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কে তৃণমুল থেকে জনপ্রিয়তা এবং বর্তমান ও পূর্বের রাজনৈতিক তথ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্রে প্রেরণের কাজ চলছে বলেও প্রশাসনের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
খুলনা গেজেট/কেএম