খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫
  গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুনে নিহত ১

দেড় লাখ টাকায় কিডনি প্রতিস্থাপন করবে গণস্বাস্থ্য

গেজেট ডেস্ক

মাত্র দেড় লাখ টাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, কিডনি রোগীদের নিঃস্ব করছে ওষুধ। সরকার চাইলেই তার দাম কমাতে পারে। ডায়ালাইসিসে প্রচুর খরচ, যা আমাদের নিম্ন শ্রেণির মানুষের জন্য বহন করা খুবই কষ্টকর। তাই, প্রতিস্থাপনই একমাত্র পথ। বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুর ১২টায় ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গেরিলা কমান্ডার মেজর এটিএম হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

সমাজের বিত্তবান ও দানশীল প্রতিষ্ঠানকে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনাদের মতো দানশীন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুদানে একটি আন্তর্জাতিকভাবে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ট্রান্সপ্লান্ট দলের কারিগরি তত্ত্বাবধানে, যুক্তরাজ্যের রয়াল লন্ডন হাসপাতালের সহায়তায় গণস্বাস্থ্য স্যার ফজলে হাসান আবেদ ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু করেছি। যার আনুমানিক প্রাক্কালন ৭৫ কোটি টাকা। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য যেখানে খরচ হয় ৩০ লাখ টাকা সেখানে আমরা কম খরচে মাত্র দেড় লাখ টাকায় কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারবো।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে আইনি জটিলতা কাটছেই না। হাইকোর্টের দেওয়া অঙ্গ সংযোজনের রায় আজও বাস্তবায়ন হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু মানুষের কারণে আমরা আটকে পড়েছি। তিনি বলেন, প্রতিদিনই কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অন্য কোনো রোগ হলে ওষুধ খেয়ে তা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু কিডনি দীর্ঘমেয়াদী রোগ হওয়ায় ব্যয়ভার অনেক বেশি। সরকার ভারতীয় কোম্পানিকে ২২০০ টাকা সাবসিডিয়ারি দেয়, আমরা ৯০০ টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু তা-ই পাচ্ছি না। সরকারি সহযোগিতা ছাড়া কিডনি সমস্যা নিরসন করা সম্ভব নয়।

প্রতিবছর হাজারের বেশি কিডনি প্রতিস্থাপন জরুরি উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশে বেসরকারিভাবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কিডনি প্রতিস্থাপন হলেও সরকারিভাবে নানা অজুহাতে থেমে আছে। ২০১৯ সালে একটি ট্রান্সপ্লান্টের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু আইনি সংকীর্ণতার কারণে আজও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, কিডনি রোগ প্রকট আকার ধারণ করায় শঙ্কা বাড়ছে। ওষুধের দাম অনেক বেশি। সরকারকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার দাম কমানোর জন্য এ সংক্রান্ত সব ট্যাক্স বাদ দিতে হবে।

কিডনি প্রতিস্থাপনে ইরানের পদ্ধতি অনুসরণ করা যায় উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ইরানে কিডনি দাতাকে সরকারিভাবে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়। ব্যক্তির সঙ্গে নয়, কিডনি বিনিময় রাষ্ট্রের সঙ্গে হয় সেখানে। ফলে কোনো ধরনের পাচার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না সেখানে।

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!