খুলনা, বাংলাদেশ | ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় স্কুল শিক্ষার্থী ভাই-বোনসহ ৩ জনের মৃত্যু
  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা পাবেন : আপিল বিভাগ; বেতন হবে ১০ম গ্রেডে
  গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে যাত্রীবাহীবাস ও সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১২
  আজ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব
তেরখাদার আদর্শ শিক্ষা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়

দেড় মাস ধরে অনুপস্থিত প্রধান শিক্ষক, পাঠদান ব্যাহত

রাসেল আহমেদ

টানা দেড় মাস ধরে অনুপস্থিত তেরখাদার সাচিয়াদহ ইউনিয়নের আদর্শ শিক্ষা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উদ্ধব কুমার মোহান্ত। তার এই অনুপস্থিতির কারণে ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও প্রশাসনিক কাজে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে বিনা অনুমতিতে প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিত থাকার এমন তথ্য পাওয়া যায়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রাচীন এই বিদ্যালয়টি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত। এলাকার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ালেখা করে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৪২ এবং শিক্ষক ১৫ জন।

স্থানীয় বাসিন্দা রনি শিকদার, ইমরুল মোল্লাসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, উদ্ধব কুমার মোহান্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের কথা বলে চাকুরি প্রত্যাশী একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যার দরুণ তিনি এখন বিদ্যালয়ে না এসে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালে কর্মচারী নিয়োগে ছয়টি পদে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা দুর্নীতির বিস্তার অভিযোগ রয়েছে।

বিদ্যালয়টির সিনিয়র শিক্ষক সুদেব বিশ্বাস ও অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষক ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। ফলে স্কুলে শিক্ষক সংকট চলছে। পড়াশোনা ও প্রশাসনিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার শাহেলা সুলতানা বলেন, সোমবার বিদ্যালয়ে পরিদর্শন গিয়ে প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি।বিদ্যালয়ের প্রধান প্রতিষ্ঠানের বাইরে গেলে অবশ্যই মুভমেন্ট রেজিষ্টারে লিখতে হবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার মুভমেন্ট রেজিষ্টার নেই। এছাড়াও হাজিরা খাতায়ও তার স্বাক্ষর নেই।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক উদ্ধব কুমার মোহান্তের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে “আমি ইউএনও অফিসে আছি” বলে ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, একাডেমিক সুপারভাইজার বিদ্যালয়টিতে পরিদর্শন গিয়ে উক্ত প্রধান শিক্ষককে অনুপস্থিত পেয়েছেন। বিনা অনুমতিতে দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!