খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

দুর্নীতি মামলায় সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের সাবেক সচিবের জেল-জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে দুর্নীতি মামলায় কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব মোস্তাফিজুর রহমানের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার স্পেশাল জজ মোহাম্মদ সামছুল হক এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি জুলফিকার আলী ভুট্টো। আসামি মোস্তাফিজুর রহমান কেশবপুর উপজেলার বিদ্যানন্দকাঠী গ্রামের খোকন মোড়লের ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল কেশবপুর উপজেলার সাগড়দাঁড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাহাজ উদ্দীন বাদী হয়ে মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও দন্ডবিধির পৃথক ধারায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাহাজ উদ্দিন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। এই সময়কালে ইউনিয়নে সচিবের দায়িত্বে ছিলেন মোস্তাফিজুর। এরমাঝে ২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি এলজিএসপি থেকে পাঁচ লাখ ৫৬ হাজার ৩শ’ টাকা উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ আসে। ওই টাকা কেশবপুর সোনালী ব্যাংকে ইউনিয়নের নিজস্ব হিসাবে জমা হয়। এরপর সচিব হিসেবে বাজেট বরাদ্দ ও পরিষদের মিটিংয়ে মোস্তাফিজুর জানান, পাঁচ লাখ ছয় হাজার ৩শ’ টাকা বরাদ্দ এসেছে। একই সাথে ওই টাকা প্রকল্প সদস্যদের মধ্যে কর্মবন্টন করা হয়। এসময় তিনি বাকি ৫০ হাজার টাকার কথা গোপন করেন। পরে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে তিনি দুই দফায় ওই ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে নেন।

সর্বশেষ, ২০১১ সালের জুলাই মাসে বাদী তার দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় অডিট রিপোর্টে এ বিষয়টি জানতে পারেন। পরে বাদী নিজেই মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোরের স্পেশাল জজ আদালতে মামলা করেন। ২০১৭ সালের ২২ জুন দুদকের সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট জমা দেন। বৃহস্পতিবার ওই মামলার রায় ঘোষনার দিনে আসামির উপস্থিতিতে দন্ডবিধির ৪০৯ ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। এছাড়া ৪৬৭ ধারায় আসামিকে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও চারমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন বিচারক।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!