যশোরে দুর্নীতি মামলায় সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাবেক রেকর্ড কিপার আব্দুল হালিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আসামি আব্দুল হালিম শহরতলীর শেখহাটি গ্রামের মৃত আলী আকবর মোল্লার ছেলে।
বিষয়টি খুলনা গেজেটকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি আশরাফুল আলম বিপ্লব। তিনি জানান, সোমবার রেজিস্ট্রি অফিসের ভলিয়ম বইয়ে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ায় তার জামিন বাতিল করে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, যশোর শহরের হাজী আব্দুল করিম সড়কের মৃত আহম্মদ আলী সরদারের ওয়ারেশদের সাথে বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডের মৃত আবুল কাশেমের ওয়ারেশদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত একটি দেওয়ানী মামলা চলছিল যুগ্ম জেলা জজ আদালতে। যার নম্বর দেওয়ানি ৪৩/১৫। এ মামলায় একটি সার্টিফাইড দলিল সরবরাহ করা হয় আদালতে। এ দলিলটি জাল সন্দেহে আহম্মদ আলী সরদারের ওয়ারেশদের পক্ষে কিসমত নওয়াপাড়ার সাজেদ জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে দুর্নীতির অভিযোগে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। মামলায় বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডের মৃত আবুল কাশেমের চার ছেলে, সাব-রেজিস্টার, রেকর্ড কিপার, নকল কারক ও পাঠক এবং নকলনবীশকে আসামি করা হয়।
আদালতের আদেশে দুদক মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। চার্জশিটে মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আবুল ফজল সিদ্দিক, সাবেক রেকর্ড কিপার আব্দুল হালিম, নকলনবীশ নার্গিস পারভীন ও নুরজাহানকে অভিযুক্ত করা হয়। সাব রেজিস্টার মৃত ও অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট না থাকায় আবুল কাশেমের অপর তিন ছেলেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
মামলাটি বর্তমানে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সোমবার এ মামলার ধার্যদিনে আসামি আব্দুল হালিম হাজির ছিলেন। এদিন সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সরবরাহকৃত দলিলের ভলিয়ম পরীক্ষা করে দেখা হয়। এতে জালিয়াতির বিষয়টি ষ্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিচারক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসমি আব্দুল হালিমের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই