দিঘলিয়ার লাখোয়াটী গ্রামের ডোবা থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধারকৃত ৭ বছরের শিশু তামিম মোল্যার নামাজে জানাযা শেষে আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পোস্টমর্টেম শেষে তার মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সূচনা হয়। নিহত তামিমের লাশ দেখে তার পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, মাদ্রাসার সহপাঠী, পাড়া-প্রতিবেশী এবং গ্রামবাসী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এদিকে এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।
দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তদন্ত রিপন কুমার সরকার এ প্রতিবেদককে বলেন, গতকাল বিকেলে নিহত তামিমের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে ঘটনার ক্লু উদ্ধারে পুলিশের সকল ইউনিট একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনার সংগে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা কোন তথ্য উৎঘাটন করতে সক্ষম হয়নি।
এ ব্যাপারে নিহতের মাতা জাহানারা বেগম কলি বাদী হয়ে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৯/২০ তাং ২৭/০২/২০২১। আসামী অজ্ঞানামা।
পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে এশার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে তামিম বাড়ি থেকে বের। রাতে বাড়ি না ফেরায় সকালে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে তাঁর নিখোঁজের সংবাদ মাইকিং করা হয়। গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি বেলা আনুমানিক ৪ টার দিকে গ্রামবাসী তাঁর মৃতদেহ লাখোয়াটী গ্রামের একটি ডোবার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে ওই ডোবা থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। লাশটি নারকেল গাছের পাতা দিয়ে ঢাকা ছিলো। নিহত তামিম ওই গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের দিনমুজুর তরিকুল মোল্যার ছেলে। তামিম লাখোয়াটী দারুল উলুম মাদ্রাসার শিশু শ্রেনীর ছাত্র।
খুলনা গেজেট/ টি আই