দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ডে হোগলাবুনিয়া গ্রামের মৃত মুজিবর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫২)। সমাজ সেবা আফিসের মাধ্যমে বিধবা ভাতা প্রাপ্ত হন। স্বামীর মৃত্যুর পর পড়েন চরম আর্থিক দৈন্যতায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাঁর প্রতি সদয় হয়ে একটি বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়। মোবাইল ব্যাংক নগদ এ্যাকাউন্টে তার নাম্বারে (01712-448242) আসা ভাতার প্রথম কিস্তির চার হাজার পাঁচ শ টাকা তুলে নিয়ে গেছে অসাধু চক্র। নগদ এ্যাকাউন্টে জমা হওয়া ভাতার ঐ টাকা গত ৩১ আগষ্ট রাত ৯.৪৫ মিনিটে নগদের ০১৯০৬ ৪৯৫০০০ নম্বর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। টাকা উত্তোলনের পর থেকে ওই নাম্বারটি বন্ধ আছে।
এছাড়া বাজুয়া ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডে চুনকুড়ি গ্রামের শেফালী শীল’র স্বামী পরিত্যক্ত ভাতার দেড় হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে । দাকোপ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড় পুত্রের স্কুলের উপবৃত্তির ২ হাজার ৮০০ টাকা নগদ এ্যাকাউন্ট থেকে অনুরূপভাবে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এভাবে দাকোপের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন মানুষের নগদ এ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও উপবৃত্তির টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপন নাম্বার ব্যতিত কিভাবে অসাধু চক্র এভাবে গরীব অসহায় মানুষের ভাতা ও উপবৃত্তির টাকা তুলে নিচ্ছে ? এমন প্রশ্ন সবার।
এ ব্যাপারে নগদের খুলনা বিভাগীয় ক্লাষ্টার প্রধান সাইফুল আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি এমন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের প্রতিনিধি ক্ষতিগ্রস্থদের তথ্য সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করছেন। তারা অবশ্যই টাকা ফেরত পাবেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে দাকোপে নগদের কোন প্রতিনিধি এ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করাতো দূরে থাক, উল্টো ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে প্রতিনিধিরা দূর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাতা বা উপবৃত্তির টাকা আসার পর ২/৩ দিন পর্যন্ত ওই চক্রটি অপেক্ষা করে। এ সময়ের মধ্যে এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ক্যাশ আউট না করলে ঘটছে এমন ঘটনা। যে কারনে প্রশ্ন উঠেছে কখন টাকা ঢুকছে সেই তথ্য ওই চক্রটি পাচ্ছে কিভাবে? তবে কি সরষের মধ্যে ভূত ?
ভুক্তভোগীরা যে কোন মূল্যে ওই চক্রকে আইনের আওতায় আনার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাতার টাকা ফেরত পেতে সরকার এবং প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খুলনা গেজেট/এএ