খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত
তরমুজ চাষিরা বিপাকে

দাকোপে অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রির অভিযোগ

দাকোপ প্রতিনিধি

খুলনার দাকোপে বিভিন্ন হাট-বাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে ইউরিয়াসহ বিভিন্ন সার বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে হাজারো তরমুজ চাষি পড়েছেন মহা বিপাকে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় বিসিআইসির মোট ১০ জন ও বিএডিসির ৪ জন মূল সারের ডিলার রয়েছে। এছাড়া ৯৫ জন খুচরা সার বিক্রেতা রয়েছে। সরকার প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের মূল্য ১৬ টাকা, টিএসপি ২২টাকা, এমওপি ১৫ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে।

গত বছরের তুলনায় এবার তরমুজ চাষ বেড়েছে দ্বিগুণ। এবছর তরমুজ চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে। এছাড়া বোরো ধান ২১৫ হেক্টর, তিল ৩ হেক্টর, মুগডাল ৪ হেক্টর, ভূট্টা ৮ হেক্টর, বাঙি ১৫ হেক্টর ও অন্যান্য শাক সবজি ৫০ হেক্টর। ফলে এলাকার হাজারো কৃষকের সারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষকদের এই চাহিদাকে পুজিঁ করে সরকারি ওই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রীতিমত সার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন ডিলাররা।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার চালনা, বাজুয়া, কালিনগর, নলিয়ান বাজারসহ প্রত্যান্ত অঞ্চলের ছোট বাজারগুলোতেও সরকার নির্ধারিত ওই মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা। সরকারী মূল্য তালিকা ঝোলানোর কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। আর কৃষকরাও বাধ্য হচ্ছেন অতিরিক্ত দামে সার কিনতে।

সরকার ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের দোরগড়ায় সার পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেও এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে কৃষকরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে এলাকার সচেতন মহলের অভিমত। এটা যেন মগের মুল্লুক বলেও অনেকেই মন্তব্য করেন।

চুনকুড়ি এলাকার একাধিক কৃষকদের সাথে আলাপকালে তাঁরা জানান, ‘সারের দোকানে গেলে প্রথমে বলে সার নেই। সারের সংকট চলছে। পরে প্রতি কেজিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি দাম নিয়ে সার দেয়। বিশেষ প্রয়োজনে অনেক বেশি দাম দিয়ে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। কৃষকদের সাথে সার ব্যবসায়িরা লুকোচুরি খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তাঁরা অনেকেই মন্তব্য করেন।’

চুনকুড়ি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য জীবনানন্দ মন্ডল বলেন, এবছর কৃষকদের কাছ থেকে সার ও বীজের দাম অনেক বেশি নিচ্ছে ব্যবসায়িরা। দেখে যেন মনে হয় হরিলুট চলছে।

এবিষয়ে উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান জানান, সারের অতিরিক্ত দামের বিষয় আমি এখনো কারো কাছ থেকে লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ পাইনি। যদি অভিযোগ পাই তখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া বিভিন্ন সারের দোকান মনিটরিং চলছে। এসময় কিছু মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক জব্দ করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!