অ্যাওসেড, খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও উপকূলীয় পানি সম্মেলন কমিটির যৌথ উদ্যোগে আজ ২২ মার্চ সকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে বিশ্ব পানি দিবস উদযাপনের অংশ হিসাবে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেযর তালুকদার আব্দুল খালেক।
অ্যাওসেড এর নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফীনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা ওয়াসার ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো: আব্দুল্লাহ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দেলোয়ারা বেগম, পানি অধিকার কমিটির সভাপতি রেহানা আখতার, সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবির ববি। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার দত্ত। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুয়েটের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড.মোস্তফা সরোয়ার। তার উপস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের পানি সংকট কতটা তীব্র হতে পারে ও এর প্রভাবে এই অঞ্চলের মানুষের ভবিষ্যৎ কি হতে পারে তা তুলে ধরেন।
সভায় বক্তারা বলেন বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল দুর্যোগ প্রবন কিন্তু জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাব জনিত কারনে আগামী দিনে এই অঞ্চলে দুর্যোগ আরও তীব্রতা নিয়ে এবং ঘন ঘন আঘাত হানবে। তার লক্ষণ ইতোমধ্যে আমরা টের পাচ্ছি। প্রাকৃতিক এবং মনুষ্যসৃষ্ট কারনের যৌথ অভিঘাতে পানি সংকট এই অঞ্চলে নানা রূপে দেখো দেবে। লবনাক্ততা বৃদ্ধি, সাগরের জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে জোয়ারের তীব্রতা ও উচ্চতা বৃদ্ধি, ভূ-গর্ভস্থ জলে আর্সেনিক দূষন, জলবদ্ধতা, মাটির লবনাক্ততা বৃদ্ধি, জল ও মাটির দূষন ইত্যাদি ক্রমেই এই অঞ্চলকে বসবাস অনুপযোগী করে তুলবে। সেজন্য এই অঞ্চলের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনায় উপরস্থ জলবায়ু পরিবর্তন এবং জল সংক্রান্ত উপাত্ত সমূহ বিবেচনায় নেওয়া খুবই জরুরী।
সভায় পাইকগাছা উপজেলার ভূক্তভোগী জনগণ উপকূলীয় অঞ্চলের পানি সংকটের চিত্র তুলে ধরেন এবং প্রতিনিয়ত তারা যে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যেমন লবণাক্ততা, নদীভাঙ্গন, জলোচ্ছ্বাস, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি আলোচনা করেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাওসেড‘র পরিচালক মাহববুবুর রহমান মোহন, সিডিপির সমন্বয়কারী ইকবাল হোসেন বিপ্লব, আইআরভির সমন্বয়কারী কাজী জাভেদ খালীদ জয় , সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহীন জামান পন, কালের কন্ঠের সাংবাদিক কৌশিক দে বাপী, পাইকগাছা উপজেলার ভিসিআরপিসি মাহমুদকাটির সভাপতি মানিক ভদ্র, বাাঁকার সভাপতি, মো: শাহবুদ্দিন, রামনাথপুরের শেফালী বিশ্বাস, হিতামপুরের কাকলি বিশ্বাস প্রমুখ।সূত্র : সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/কেএম