টানা তিন ঘন্টার বৃষ্টিতে যশোর প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষের ঘরবাড়িতে পানি জমে গেছে। শহরে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সড়কগুলোতে পানি জমে যায়। এতে মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এদিন যশোরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ১২০ মিলিমিটার।
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকেই যশোর শহরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত চলতে থাকে। এরপর বেলা পৌনে ১১টায় ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। এক পর্যায়ে এ বৃষ্টি আধাঘণ্টা পর থেমে গিয়ে পরে দুপুর ১২টা নাগাদ শুরু হয়। যা দুপুর প্রায় ৩টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত টানা ঝুম বৃষ্টিতে প্লাবিত হয় যশোর শহর। বিভিন্নস্থানে সড়কে পানি জমে যায়। শহরের পাইপপট্টি, রেলরোড, টিবি ক্লিনিক রোড, ষষ্টিতলাপাড়া, খড়কী, বেজপাড়া মেইন রোড, পিয়ারী মোহন রোড, বুনোপাড়া, কারবালা সড়ক, বকচর হুশতলা সড়ক, পুরাতন কসবা ও ঘোপ ধানপট্টি এলাকাসহ বিভিন্ন সড়ক ও পাড়া মহল্লায় বৃষ্টির পানি জমে যায়। এতে বিপাকে পড়ে রিকশা চালকসহ শ্রমজীবী মানুষেরা। বৃষ্টিতে ভিজেই তাদেরকে কাজ করতে হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের বৃষ্টিতে ভিজেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে।
শহরে পানি নিস্কাশন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সড়কগুলোতে পানি জমে যায়। সড়কের পানি ড্রেনে প্রবেশের যে ফাঁকা স্থান রয়েছে, সেখানে ময়লা জমে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে শহরবাসী মন্তব্য করেছেন। তারা দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণী থান পলাশ বলেন, শহর উন্নয়নের বিপুল টাকার কাজ খুর দ্রুতই শুরু হবে। এ কাজের অংশ হিসেবে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থারও উন্নয়ন করা হবে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/এএজে