খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

তরিকুল ইসলাম ছিলেন আগাগোড়াই একজন আদর্শবাদী রাজনীতিবিদ : মঞ্জু

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং প্রগতিশীল রাজনীতির বলিষ্ট নেতা, দক্ষিণবঙ্গের সিংহ পুরুষ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রায়ত সদস্য, সাবেক মন্ত্রী মরহুম তরিকুল ইসলামের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে এবং নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মঞ্জু বলেন, তরিকুল ইসলাম ছিলেন আগাগোড়াই একজন আদর্শবাদী রাজনীতিবিদ। মাটি মানুষের প্রতি অঙ্গীকার থেকে যারা রাজনীতি করেন, তাদের জীবন ধারায় সাফল্য ব্যর্থতা আর জেল-জুলুমের যে পর্বগুলো অনিবার্য হয়ে উঠে তরিকুল ইসলামেরও তাই। ঔপনিবেশিক আমলে জন্ম নেয়া এ ব্যক্তির পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের শিক্ষা জীবনকালে আদর্শবাদী রাজনীতির প্রধান অ্যাজেন্ডা ছিল বৈষম্য ও শোষণমুক্তি। ছাত্রজীবনেই তিনি সেই রাজনীতিতেই দীক্ষা নেন। ১৯৬৩-১৯৬৪ সালে ছাত্র ইউনিয়নের প্রার্থী হিসেবে মাইকেল মধুসূদন কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৬২ সালে যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজের জরাজীর্ণ শহীদ মিনার মেরামত করতে গেলে তৎকালীন সামরিক সরকার তাকে গ্রেফতার করে। এরপর ১৯৬৮ সালে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন করে নয় মাস রাজশাহী এবং যশোরে কারাভোগ করেন তরিকুল ইসলাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়ায় আবারো কারাভোগ করেন তিনি। এরশাদ শাসন এবং ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সময়ও কারাবরণ করতে হয় তাকে।

সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জু আরো বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ভাবধারার প্রতি একনিষ্ঠ ছিলেন তরিকুল ইসলাম। বাম ছাত্র রাজনীতির মাঠকর্মী থাকার পর রাজনৈতিক জীবনে স্থানীয় নেতা, সেখান থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নীতিনির্ধারক হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন তরিকুল ইসলাম। মওলানা ভাসানীর রাজনীতির বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্মবিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার সাথে শোষণমুক্ত সমাজ কাঠামোকে একাত্ম করে তা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা। ভাসানী আবুজর গিফারী র:-এর বিশ্বাস এবং মাও সে তুং-এর শোষণমুক্তির রাজনীতি থেকে নিজের কর্মপ্রেরণা নিয়েছিলেন। এই মজলুম জননেতা সারা জীবন কাটিয়েছেন সংগ্রাম ও জনগণের কাতারে থেকে। তরিকুল ইসলাম যখন যশোর এম এম কলেজের ছাত্রনেতা ছিলেন, তখন মওলানার সেই আদর্শ তার গভীর মন ও মননে প্রতিষ্ঠিত হয়। তরিকুল ইসলাম বিএনপি সরকারের সময় তথ্য, সমাজকল্যাণ, রেল ও যোগাযোগ, টিঅ্যান্ডটি, খাদ্য এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ কেবিনেটমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্থনীতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন আর মাঠ রাজনীতির অভিজ্ঞতার সমন্বয় নিয়ে মন্ত্রণালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিতে পেরেছেন যশোরের এই জননেতা। মন্ত্রী থাকাকালে এবং বিরোধী রাজনীতির সময় তার শয়নকক্ষে বা হাসপাতালের কেবিনে শিয়রের পাশে বসে গল্প করা বা আলোচনার সুযোগ হয়েছে। একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আমার মনে হয়েছে, এই জননেতা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে অনেক গভীরভাবে বুঝতে পেরেছিলেন।

নগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি এস এম শফিকুল আলম মনা, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মোশাররফ হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, আবু হোসেন বাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন স ম আব্দুর রহমান, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, চৌধুরী কাওসার আলি, এড. তাসলিমা খাতুন ছন্দা, আব্দুর রকিব মল্লিক, সিরাজুল হক নান্নু, আশরাফুল আলম নান্নু, মো. শাহজাহান, ইকবাল হোসেন খোকন, নিজামউর রহমান লালু, শাহিনুল ইসলাম পাখি, ওহেদুজ্জামান রানা, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, নাজমুস সাকিব পিন্টু, শাহানাজ ইসলাম, মোল্লা কবির হোসেন, আনিসুর রহমান, একরামুল কবির মিল্টন, হাসানুর রশিদ মিরাজ, শামসুজ্জামান চঞ্চল, কামরান হাসান, মুজিবর রহমান ফয়েজ, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, আবু সাঈদ শেখ, ওয়াজউদ্দিন সান্টু, ম শ আলম, নাজির উদ্দিন নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, বদরুল আনাম খান, জহর মীর, তরিকুল্লাহ খান, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, শরিফুল ইসলাম বাদল, শওকত আলি, কাজী আব্দুল লতিফ, ইশহাক তালুকদার, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, ইমতিয়াজ আলম বাবু, বাচ্চু মীর, আসলাম হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, লিটন খান, মোস্তফা কামাল, নাসির খান, বাবু মোড়ল, মাজেদা খাতুন, গোলাম কিবরিয়া, শামসুল বারী পান্না, রাহাত আলি লাচ্চু, তানভিরুল আলম রুম্মান, গাজী মাসুদ শরীফ, এনামুল হক সজল, মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, কাজী ফজলুর রহমান টিটু, সিরাজুল ইসলাম লিটন, কে এম মাহবুব আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন, জাবীর আলি, হেদায়েত হোসেন, মনিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম লিটন, শাকিল আহমেদ, আরিফুর রহমান আরিফ, সাজ্জাত হোসেন জিতু, মুসফিকুর রহমান অভি, মনিরুজ্জামান লেলিন, কওসারী জাহান মঞ্জু, ইমরান হোসেন, মাসুম বিল্লাহ, মফিজুর রহমান মিঠু, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল গফ্ফার।

অনুষ্ঠানে প্রায়ত রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। এছাড়া দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সুস্থতা কামনায়ও দোয়া করা হয়।

 

খুলনা গেজেট /এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!