দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও তাতে মানুষের মৃত্যু অব্যাহত থাকলেও খুলনার অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে উদাসীন। ফলে স্বাস্থ্যবিধির অন্যতম অনুসঙ্গ মাস্ক সহজলভ্য হলেও ব্যবহার নেমেছে নূন্যতম পর্যায়ে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে একশ’ টাকা দিয়ে মাস্ক কিনে ব্যবহারের লোকের অভাব না থাকলেও এখন ১০ টাকায় ৩টি কিনে নিয়মিত ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দুইমাস পর ফের শনাক্ত হাজার ছাড়িয়েছে। এদিকে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের মধ্যে চরম অনাগ্রহ দেখা দিয়েছে। ফলে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
সরেজমিনে বুধবার খুলনার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কিছু সংখ্যক মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও অধিকাংশের ক্ষেত্রে তা দেখা মেলেনি। অনেকের কাছে মাস্ক থাকলেও তা রেখে দিয়েছে পকেটে। বাস ও ইজিবাইকসহ অন্যান্য যানবাহনের যাত্রীসহ চালকদের মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি। তবে কেউ কেউ নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক পরছেন।
রূপসা ঘাটে কথা হয় বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার আতিয়ার হোসেনের সাথে। তিনি মুখে মাস্ক ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন, করোনার টিকা নিয়ে মাস্ক না নিয়ে অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাদের উচিত নিজে মাস্ক ব্যবহার করা এবং অন্যকে সচেতন করে তোলা।
খুলনার সুন্দরবন কলেজের শিক্ষার্থী আবু তাহের বলেন, খুলনায় মাস্ক ব্যবহারের উপর প্রশাসনের তৎপরতা এখন অনেকটা ঢিলেঢালা। তিনি পুনরায় মোবাইল কোর্ট চালুসহ তৎপরতা জোরদার করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ খুলনা গেজেটকে বলেন, সর্বস্তরের মানুষকে মাস্ক ব্যবহারের জন্য বার বার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রচারণাসহ মোবাইল কোর্ট চালানো হচ্ছে।টিকা নেওয়ার পরেও মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম