যশোরের চৌগাছায় পুলিশ পরিচয়ে রায়হান (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রকে বাড়ির দরজা ভেঙ্গে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে রাতেই চৌগাছা থানা পুলিশ রায়হানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রায়হান উপজেলার সিংহঝুলী ইউনিয়নের গরীবপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে এবং পাশাপোল-আমজামতলা মডেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
যশোর হাসপাতালে ভর্তি রায়হান ও তার মা জানান, রোববার রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল রায়হান। রাত ১টার দিকে শামীম, সাগর, সালাম, ইয়াসিন, বোরহান, ইউসুফসহ ১০/১২ জন দুর্বৃত্ত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে যায়। সন্ত্রাসীরা নিজেদের থানা পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে রায়হানকে ডাকতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা রায়হানের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে পড়লে রায়হানের মা শামীমের পা জড়িয়ে ধরে। তখন মায়ের বুকে লাথি মেরে তাকে ফেলে দিয়ে ছেলেকে ঘরের বাইরে নিয়ে যায় তারা। এরপর বাড়ির উঠনে ফেলে রায়হানকে বেধড়ক মারপিট করা হয়।
সেখান থেকে তাকে বাড়ির বাইরে নিয়ে আরেক দফা মারপিট করে। পরে গ্রামের সাবেক মেম্বরের (ফেলা মেম্বর) বাড়ির সামনে নিয়ে রায়হানকে চারজনে ধরে মাটিতে শুইয়ে ডান পায়ে চাপাতির উল্টোপিঠ দিয়ে বেধড়ক পেটায় ও বুকে শর্টগান ঠেকিয়ে গুলি করতে উদ্যত হয়। সে সময় রায়হানের চিৎকারে গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। স্থানীয়রা চৌগাছা থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ গিয়ে রায়হানকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে ডাক্তাররা তাকে যশোর হাসপাতালে রেফার করেন। এ ব্যাপারে ছৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিফাত খান রাজিব জানান, এ ঘটনায় পুলিশের কোন সদস্য জড়িত নন। দুর্বৃত্তরা পুলিশের নাম ব্যবহার করে এ ঘটনা ঘাটয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ