খুলনা, বাংলাদেশ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ: তথ্য উপদেষ্টা
  বন্ধ হয়ে গেল নভোএয়ারের ফ্লাইট

ডুমুরিয়ায় সন্তানদের ফিরে পেতে বাবার উচ্চ আদালতে রিট

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

ডুমুরিয়ার প্রকৌশলী শাহিদুজ্জামান বাপ্পী ও চিকিৎসক আমিনা জান্নাত পিয়া দম্পতির তালাক হয়ে যাওয়ার পর তাদের দুই সন্তান কার কাছে থাকবে এ নিয়ে চলছে টানাটানি। তারা দুই জনই ওই সন্তানের দাবি করে আসছেন। এদিকে সন্তানদের নিজের কাছে রাখতে ঢাকার উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন শাহিদুজ্জামান বাপ্পী। আগামীকাল বৃহস্পতিবার(৩ ফেব্রুয়ারি) এ মামলার শুনানি হবে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জার্মান প্রবাসী প্রকৌশলী এম এম শাহিদুজ্জামান বাপ্পী ও চিকিৎসক আমিনা জান্নাত পিয়ার বিয়ে হয় ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর। প্রকৌশলী এম এম শাহিদুজ্জামানের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। আমিনা জান্নাত পিয়া খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী প্রধান ও কেশবপুর শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসক হিসেবে রয়েছেন। তার বাড়ি বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলায়। ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সাফওয়ান আরসাল ও ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি সামিন আহনাফ নামে দুই ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। সংসার জীবনে পারিবারিক কলহে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর এ দম্পতির তালাক হয়ে যায়। এরপর থেকেই দুই ছেলে সন্তান তাদের নানা-নানির কাছেই রয়েছে। তারা দু’জনেই অন্যত্র বিয়ে করে করেছেন।

এদিকে ওই দুই ছেলেকে প্রকৌশলী শাহিদুজ্জামান তার কাছে রাখতে উচ্চ আদালতে গত ৪ জানুয়ারি মামলা করেন। এ মামলার শুনানি হবে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি)। সাফওয়ান আরসালের বর্তমান বয়স ১০ বছর ও সামিন আহনাফের বয়স ৭ বছর।

এ বিষয়ে এম এম শাহিদুজ্জামান বাপ্পী বলেন, আমার ছেলে সন্তান দুটি তার নানা-নানির কাছে রয়েছে। প্রতি মাসে সাফওয়ান ও আহনাফের ভরণ পোষণের জন্য তাদের নানা আবুল হোসেনের ব্যাংক একাউন্টে ২২ হাজার টাকা করে পাঠানো হয়। গত দুই মাস ধরে আমার সন্তানদের সঙ্গে দেখা কিংবা যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমার কাছে রাখতে চাই।

চিকিৎসক আমিনা জান্নাত পিয়ার বাবা আবুল হোসেন খানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি।

এই মামলার আইনজীবী শিশির মনির বলেন, সন্তানদের অভিভাবকক্ত চেয়ে উচ্চ আদালতে যে মামলা করেছিলেন তার শুনানি হবে কাল বৃহস্পতিবার। বাবা-মা ও দুই ছেলেকে আদালত হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ছেলে সন্তানদের বয়স ৭ বছর হলে বাবার অধীনে থাকে। এক্ষেত্রে সন্তানদের মতামতও নেওয়া হয়।

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট এস এম জাকির হোসেন বলেন, যার কাছে থাকলে সন্তানের সর্বোচ্চ কল্যাণ হবে আইনের বাধ্যবাধকতা না থাকলে তার কাছে থাকারই অনুমোদন দেয় আদালত।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!