যশোরে ডাক্তার স্বামীকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে চিকিৎসক স্ত্রী ও তার প্রেমিকসহ ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে ডাক্তার জামিউল হাসান সেতু এ মামলা করেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী জিএম কামরুজ্জামান।
মামলার আসামিরা হলেন, যশোর শহরের ঘোপের খলিলের ছেলে হৃদয় হোসেন ও সদর উপজেলার নতুনহাট তেঘরিয়া গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের মেয়ে ও ঘোপ জেল রোডের মাতৃসেবা ক্লিনিকের ডাক্তার সোনিয়া শারমিন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ডাক্তার জামিউল হাসান সেতুর স্ত্রী অভিযুক্ত ডাক্তার সোনিয়া শারমিনের সাথে সংসার জীবনে তার নানা ঝামেলা রয়েছে। এ নিয়ে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়েছে। সন্তানের কথা চিন্তা করে সেতু তার স্ত্রীকে ত্যাগ করতে পারেননি। এরমধ্যে শারমিন আসামি হৃদয় হোসেনের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর রাতে সেতু জানতে পারেন তার স্ত্রীর ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি যশোর শহরের চাঁচড়া তেঁতুলতলায় অবস্থান করছে। এ সংবাদ পেয়ে তিনি ও তার দুই বোনকে সাথে নিয়ে অপর একটি প্রাইভেটকারে ঘটনাস্থলে যান। পার্ক করা প্রাইভেটকারের কাছে যেয়ে দেখেন ভেতরে দু’জন বসে আছেন। তিনি কারের দরজা খুলতে বললে তারা ডাক্তার সেতুকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরই মধ্যে আসামিরা গাড়ি থেকে নেমে লোহার রড দিয়ে তার দুই বোনকে ব্যাপক মারপিট করেন। পরে স্থানীয়রা সেতু ও তার দুই বোনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খুলনা গেজেট/কেডি