খুলনায় জেলা পরিষদে বিল চাওয়ায় ঠিকাদারকে মারপিটের ঘটনায় এখনও কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। অন্যদিকে হামলাকারী ও তার মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে খুলনা জেলা যুবলীগ। সোমবার বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয় চত্ত্বরে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, তেরখাদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও খুলনা জেলা পরিষদ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এফ এম মফিজুল রহমান করোনাকালীন ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (হ্যান্ড ওয়াশ, স্যানিটাইজার ও মাস্ক) সরবরাহ করেন। সেই সরবরাহের বিল এখনও বকেয়া রয়েছে। সেই বিলের বিষয় নিয়ে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা বলতে যান তিনি ও অপর ঠিকাদার মোহাম্মদ আলী। এসময় প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে তার ঘনিষ্ট বন্ধু সাইফুর রহমান সুজন নামে এক ব্যক্তি সেখানে বসা ছিলেন। বিলের বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করতেই প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। অবস্থা বেগতিক দেখে মফিজ তার কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। রুমের বাইরে আসলে সুজন তাকে চড়, কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এসময় তার হাতে থাকা ভারি ধাতব বস্তু দিয়ে তার কপালে সজোরে আঘাত করে। এতে তার কপাল ফেটে যায়। সেখানে চারটি সেলাই লেগেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার খুলনা সদর থানায় মফিজ বাদী হয়ে মামলা করেন। কিন্তু ৪ দিনেও আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হামলাকারী সন্ত্রাসী ও মদদদাতাদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
সংগঠনের জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক সরদার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল। সমাবেশে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শহিদুল ইসলাম, শিউলি আক্তার, জামিল খান, যুবলীগ নেতা এবিএম কামরুজ্জামান, আসাদুজ্জামান রিয়াজ, জলিল তালুকদার, ব্রজেন দাস, প্রদীপ বিশ্বাস, শেখ মো: জামাল, শেখ মনিরুল ইসলাম, এস কে আলী ইয়াছিন, অনুপম বিশ্বাস, প্রভনাষক গোবিন্দ ঘোষ ও ছাত্রলীগ জেলা সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম