চীন, তুরস্ক ও মিশর থেকে দীর্ঘ সমুদ্র পথ পাড়ি দিয়ে খুলনা পর্যন্ত আনতে পেঁয়াজের গুণগত মান নষ্ট হয়। পরিবেশ দুষণ মুক্ত করতে টিসিবির খালিশপুরের চরেরহাটস্থ গুদাম চত্বরে এ পণ্য কবর দেওয়া হয়েছে। তিনমাস আগে কবর দেওয়া পেঁয়াজের পরিমাণ ৪০ মেট্রিক টন।
গেল তিন বছর যাবত পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল ছিল। খোলা বাজারে প্রকারভেদে কেজি প্রতি সর্বনিম্ন ৩৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়। গেল বছর রমজানের আগে খুলনার ট্রাক টার্মিনালস্থ কাঁচা বাজারে ২ দিন পেঁয়াজের মজুদ ছিল শুণ্যের কোটায়। গেল তিন বছরে দফায় দফায় ভারত পেঁয়াজ রপ্তানী নিষিদ্ধ করে। ভারত নির্ভর এ পণ্যের মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তাদের ঘাড়ে চাপ পড়ে।
বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রমজান, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে আট দফা পেঁয়াজ বিক্রি করে। গত বছরের রমজান থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত প্রতি কেজি ২৫ টাকা, পরে ৩০ টাকা, ২০ টাকা, ১৫ টাকা আবার ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। বড় সাইজের পেঁয়াজ কিনতে ভোক্তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করে। পেঁয়াজ দ্রুত বিক্রি করার জন্য টিসিবির ডিলাররা মোড়ে মোড়ে সাব ডিলার নিয়োগ করে। এরপরও টিসিবির পেঁয়াজে মন্দাভাব থাকায় এবং ক্রেতার অনীহার কারণে খুলনার গুদামে মজুদকৃত পেঁয়াজে চারা গজায়।
টিসিবির সূত্র বলেছে, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কন্টেইনারে উল্লেখিত ৩ দেশ থেকে দীর্ঘ সমুদ্র পথ পাড়ি দিয়ে খুলনা পর্যন্ত আনতে গুণগত মান নষ্ট হয়ে পড়ে। এমন ৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ চরেরহাটস্থ গুদাম চত্বরে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।
টিসিবি খুলনার অফিস প্রধান মোঃ মোঃ আনিছুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে বলেন, নষ্ট পেঁয়াজের দায় দায়িত্ব টিসিবি কর্তৃপক্ষের নয়, গুণগত মান নষ্ট হওয়ায় সরবরাহকারির কাছ থেকে উল্লেখিত পরিমাণ পেঁয়াজ বুঝে নেওয়া হয়নি। পরিবেশ দুষণ মুক্ত করতে সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান গুদাম চত্বরে নষ্ট পেঁয়াজ মাটি চাপা দিয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই