শুরুতেই ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে পাকিস্তান। একে একে ফিরে গেছেন রিজওয়ান, বাবর আজম, হায়দার আলী ও শোয়েব মালিক। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৮২ রান।
আজ শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা স্বাগতিকরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ রান করেছে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ক্ষেত্রে আহামরি সংগ্রহ না হলেও মিরপুরের এই স্কোরই আশাজাগানিয়া। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ দুই সিরিজই তার প্রমাণ!
পাকিস্তান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাবর আজম বাহিনী। মুস্তাফিজের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। রিজওয়ানকে সরাসরি বোল্ড আউট করেন কাটার মাস্টার। ফেরার আগে ১১ বলে ১১ রান করেন পাকিস্তান ওপেনার।
পরের ওভারে তাসকিন তুলে নেন বাবর আজমের উইকেট। ১০ বলে ৭ রান করে ফিরে যান বাবর। এরপর হায়দার আলিকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মেহেদী হাসান। অভিজ্ঞ শোয়েব মালিককে রানআউট করেন নুরুল হাসান সোহান। শোয়েব মালিক ৩ বল খেললেও কোনো রান যোগ করতে পারেননি স্কোর বোর্ডে। এখন ৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪ রান নিয়ে ব্যাট করছে পাকিস্তান। ৩ রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন ফখর জামান।
এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১২৭ রানে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। জয়ের জন্য ১২৮ রান করতে হবে পাকিস্তানকে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করে বাংলাদেশ। নাঈম শেখের পর একে একে বিদায় নেন সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা।
দলীয় ৩ রানে ব্যক্তিগত ১ রান করে হাসান আলির শিকার হন নাঈম শেখ। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন নাঈম। বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে টেস্ট মেজাজে খেলে আউট হন সাইফ হাসান। ৮ বল খেলে স্কোর বোর্ডে মাত্র ১ রান যোগ করেন তিনি।
এরপর শান্ত ৭ রানে ও রিয়াদ ৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। মোটামুটি খেলতে থাকা আফিফ সামনে এগিয়ে শাদাব খানকে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন। আউট হওয়ার আগে তিনি ৩৪ বলে করেন ৩৬ রান। তার ইনিংসে ছিল দুটি করে চার ও ছয়ের মার। এরপর নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান মিলে গড়ে তুলেন ৩৫ রানের জুটি। এ সময় ২২ বলে ২৮ রান করে হাসান আলির বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন নুরুল।
তাতে থমকে দাঁড়ায় বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ দিকে মেহেদী হাসানের ব্যাটে ভর করে শত রান পার করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত মেরে খেলে ২০ বলে ৩০ রান করেন মেহেদী। মাঝে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব আউট হন ২ রান করে। ৩ বলে এক ছয়ে তাসকিন করেন ৮ রান। পাকিস্তানের হয়ে ৩টি উইকেট নেন হাসান আলি। দুই উইকেট পান মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নেওয়াজ ও শাবাদ।
খুলনা গেজেট/এএ